ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সাধারণ কিছু ভূল


এডমিশনে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবী হওয়া সত্ত্বে ও তোমাদের পাবলিকে চান্স না পাবার কিছু কারন আজ কে দেখাবো।মূলত যারা সেকেন্ড টাইম দিবা তাদের জন্যই ভূল গুলো ধরিয়ে দেয়া।চলো, ভূল গুলো একটু মিলিয়ে নেই।
১.একই বিষয়ের একাধিক গাইড পড়েছো।কিন্তু কোনোটাই পুরোপুরি কমপ্লিট না করে পরীক্ষার হলে গিয়েছো।যেখানে মাত্র একটা গাইড ফুল কমপ্লিট করলে চান্স হয়ে যায়।

২.সব গুলো সাবজেক্ট এর সবগুলো অধ্যায় কমপ্লিট করে না যাওয়া।অনেকেই দেখা যায়,গুরুত্তপূর্ণ অধ্যায় কঠিন মনে করে বাদ দাও।এই জন্য সমস্যা হয়।
৩.এমসিকিউ পেপার সঠিকভাবে পূরণ না করা।বল পূরণে অসতর্কতা একটা কারন।কোনো কোনো জায়গায় বল একটু এদিক ওদিক হলে সেগুলো কাউন্ট করা হয় না,তাই সঠিকভাবে এটা পূরণ করা জরুরী ছিলো।
৪.ঢাবি প্রশ্ন ব্যাংক পুরোপুরি শেষ না করে পরীক্ষা দেয়া।এটা সবচেয়ে সহজ একটা কাজ।এটা থেকে প্রশ্ন হয় না এমন কোনো ভার্সিটি নাই।এখান থেকে আসা প্রশ্ন থেকে ও তোমরা ভূল করেছো।
৫.একসাথে ক এবং ঘ ইউনিট এর প্রিপারেশন নিয়েছো।এতে খালি হাতে ফেরার চান্স বাড়িয়ে দিয়েছিলো।একসাথে সব করতে গিয়ে তোমরা কোনোটাই পারফেক্টলি শেষ করতে পারো নাই,তাই এমন টা হয়েছে।
৬.পাখি এবং এবং টিভি সিরিয়াল এ রুটিন মেপে সময় দিয়েছো।এই সময় টা তে পাখি আর সিরিয়ালের পেছনে সময় আগের মতই অপচয় করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
৭.অমক ভার্সিটি ভালো না,তমক ভার্সিটি দূরে এই মনোভাব ছিলো।ঢাকার বাইরে পরীক্ষা অনেকেই দাও নাই।আবার প্রিপারেশন ছাড়াই ঢাকার বাইরে পরীক্ষা দিয়েছিলে, তাই এমনটা হয়েছে। যদি প্রিপারেশন নিয়ে দিতে, তাহলে ভালো কিছু হতে পারতো।
৮.আমি বিশাল ছাত্র, সব পারি আমি এবং আমি কিছুই পারি না এই দুই এর মধ্যে ছিলা অনেকেই।
৯.কোচিং এর মার্কসে হতাশ হয়ে কোচিং ছেড়ে দিয়েছিলে।নিজে নিজেই প্রিপারেশন নেয়ার কারণে অনেকক্ষেত্রে সমস্যা হয়,কারণ রুটিন মাফিক পড়াশুনা টা থাকে না।
১০.দূরের ভার্সিটি.... নোয়াখালি,পটুয়াখালি,বরিশাল,কুমিল্লা এত দূরে পরীক্ষা দিয়ে কি লাভ! এগুলো তে পড়ে কি চাকরি পাবো! এই টেনডন্সি থাকার কারনে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেকেরই।একটা কথা বলি পাবলিক এর ছাত্র আগে হও,তখন বুঝবা এগুলোতে পড়ে কি হবে....কল্পনা ও করতে পারবা না পাবলিকের উচ্চতা কতদূর।
১১.ছোটো স্বপ্ন দেখা। একটা হাতির স্বপ্ন দেখবা, একটা মুরগি হলে ও পাবা কিন্তু তোমার স্বপ্নই যদি হয় মুরগি তাইলে ডিম পাওয়ার আশা করা কঠিন।
১২.জিপিএ কম নিয়ে যেখানে জিপিএ মার্কস গণনা করা হয় বেশি সেই ভার্সিটি কে টার্গেট করে পরীক্ষা দেয়ার কারণে।
১৩.নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকা।
১৪.যেই ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিয়েছো সেই ভার্সিটির বিগত বছরের প্রশ্ন এনালাইসিস না করে,পাশ মার্কস কত সেটা না জেনে পরীক্ষা দিতে যাওয়া।
সর্বোপরি একটা কথা মনে রাখবা চান্স তোমাকে পেতে হবে।কিভাবে করা যায় সেটা ভাববা,কিন্তু চান্স পাবো কি পাবো না,হবে কি হবে না,কনফিউশন রাখবা না,মনোবল টা থাকতে হবে,হতাশ হওয়া যাবে না। ©ইমন

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.