ওরা ও আমরা ; নবীন শিক্ষার্থী বরণে সাইন্স ফেস্টিভ্যাল বনাম রাজনৈতিক ব‍্যানার-ফেস্টুন


ইউনিভার্সিটি অব প‍্যানসিলভানিয়ার নতুন সেশন শুরু হলো কয়েকমাস আগে। নতুন নতুন শিক্ষার্থীরা এলো। তরুণ প্রাণদের অভ‍্যর্থনা দেয়া হলো বিভিন্ন স্কুল/ফ‍্যাকাল্টি থেকে। তারা ল‍্যাবরেটরিতে আসে। আমাদের সাথে কথা বলে। ল‍্যাবের ফ‍্যাসিলিটি দেখে। বিভিন্ন প্রফেসরদের ল‍্যাব ঘুরে ঘুরে ধারণা নেয়। তাদেরকে অভ‍্যর্থনা জানায় বিশ্ববিদ‍্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাদের জন‍্য বাণী দেন বিশ্ববিদ‍্যালয় প্রধান। তাদের জন‍্য নানান ধরণের মজার অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠণ ও স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করে বড়ো বড়ো কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সামারে তাদের ক্লাস থাকেনা কয়েক মাস। সেসময় ওরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার জন‍্য প্রতিয়োগিতা করে। ইন্টার্নশিপের মাধ‍্যমে কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নেয় উনিশ-বিশ বছর বয়সে।
আমাদের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলোতেও নবীনেদের অভ‍্যর্থনা দেয়া হয়। সেখানে ব‍্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের সবচেয়ে অযোগ‍্য ছেলে-মেয়েগুলো অর্ভথ‍্যনা জানায় ভবিষ‍্যতের সম্ভাবনাময়ী নবাগতদের। নবীনদের শেখানো হয় কী করে বাসে-ট্রেনে সিট দখল করে রাখতে হবে। কী করে দল করতে হবে। একটি সিট রাখার মতো তুচ্ছতম ঘটনা নিয়ে কী করে মারামারি করতে হবে—সেগুলোর শিক্ষা পাই আমরা। তরুণরা বড়োভাইদের জোড়ে নেতা হয়ে উঠে। হলের একটি সিটের জন‍্য ব‍্যক্তিগত দাস হতে হয়। গায়ের জোড়ে, পেশীর জোড়ে ধরাকে সরা করতে শেখানো হয়। আমাদের নবীনারা শিক্ষা পায় হলে গ্রুপিং করার। শিক্ষা পায় কী করে রাজনীতি করে একটি চাকুরি পাওয়া যায়! শিক্ষা পায় কী করে ড্রাগ সেবন করতে হয়! শিক্ষা পায় কী করে নেতা-নেত্রীর পদলেহন করে সেক্রেটারি, সভাপতির মতো তুচ্ছতম পদ পাওয়া যায়। যে ছেলে-মেয়েরা পৃথিবী দাপড়ে বেড়ানোর সম্ভাবনা রাখে, তাদেরকে আমরা হলের সেক্রেটারি বানাই! তার মগজে ঢুকাই, এরচেয়ে সুখকর বিষয় জগতে কিছু নেই। এরচেয়ে ক্ষমতাধর পৃথিবীতে কিছু নেই! —যে মাটি দিয়ে বেড়ি বাঁধ দেয়া যায়, সে মাটি দিয়ে প্রতিমাও গড়া যায়। মানুষ প্রতিমাকেই উপসনা করে, বেড়ি বাঁধকে নয়।
মানুষ হলো এমন প্রাণী, সে যে পরিবেশে গড়ে উঠে সে পরিবেশের মতোই হয়। সবচেয়ে নিষ্পাপ মেধাবী তরুণটিও হয়ে উঠতে পারে ড্রাগ এডিক্টেড, সন্ত্রাসী, নষ্ট কোন যুবক! আমাদের নৈতিক অবক্ষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই শুরু। অথচ আমরা কী জন্ম থেকে অনৈতিকতার শিক্ষা নিয়ে আসি? একজন নবীনকে বিশ্ববিদ‍্যালয় ব‍্যস্ত রাখবে কাজে, সৃষ্টিশীলতায়, প্রতিযোগিতায়। তার সময়ই থাকবে না অন‍্য কিছু ভাবার। তুচ্ছ কাজে ব‍্যস্ত থেকে বড়ো হওয়ার স্বপ্ন দেখা যায়, বড়ো হওয়া যায় না।
……….
নিউইয়র্ক\


(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here - https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.