হতে চাইলে BUETian - 2



বুয়েটে ভর্তির টিপস
শেয়ার করে তোমার টাইমলানে রেখে দাও।
Writter: Tusar Mamun
.
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে দেশ সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সে হিসেবে মেধাবীদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। কিন্তু বুয়েটে চান্স পেতে হলে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ধরন সম্পূর্ণ আলাদা।

তাহলে করণীয় কী?
বুয়েটে চান্স পাওয়ার সূত্র হলো- কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রম। তাই শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে কলেজের পড়াশোনা শেষে অ্যাডমিশনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হয়। একটি কথা মনে রাখতে হবে- ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার পরের কয়েকটি মাস। এই সময়ের সঠিক প্রস্তুতি আর দিকনির্দেশনাই বয়ে আনতে পারে কাঙ্খিত ফল। না বুঝে অযথা দিন-রাত প্রচুর পড়াশোনা হয়তো অনেকেই করে,কিন্তু দেখা যায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে আশানুরূপ ফল আসে না।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতিটি রচনামূলক প্রশ্নের জন্য গড়ে প্রায় ৩ মিনিট সময় পাওয়া যায়। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর করা প্রায় অসম্ভব। তাই যেসব প্রশ্নের সমাধান জানা আছে অথবা সমাধান করতে পারা যাবে বলে মনে হয় সেগুলোর আগে উত্তর করা উচিত।

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ ভাগ উত্তর করে আসা অনেকটা কঠিন। ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৪০-৫০ নম্বরের উত্তর না করেও বুয়েটে চান্স পাওয়া সম্ভব। তাই সব প্রশ্নের উত্তর করে আসব- এই টার্গেট নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া একধরনের বোকামি। বরং এই টার্গেট রাখা উচিত,আমি যা পারি তা সঠিকভাবে দিয়ে আসব।

ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত এই তিনটি বিষয়ের ওপরই প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে পদার্থ আর গণিতের প্রশ্নগুলো তুলনামূলক কঠিন হয়। এই বছর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত প্রতিটি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। মনে রাখতে হবে কোনো ধরনের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না।

বিষয় ভিত্তিক প্রস্ততি:

পদার্থ বিজ্ঞানের প্রস্তুতি: পদার্থবিজ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য অন্তত দুজন লেখকের বইয়ের সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা উচিত। বাজারে খোজ নিলে অনেক লেখকের বই পাওয়া যাবে। কোন লেখকের বই পড়বে সেটা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম পত্রে গতিবিদ্যাসহ প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। আর দ্বিতীয় পত্রে চুম্বক, তড়িৎশক্তি, আলো এসব অধ্যায় থেকে প্রায় প্রতিবছরই রচনামূলক প্রশ্ন থাকে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি বিষয় মনোযোগ সহকারে এবং অবশ্যই বুঝে পড়তে হবে। থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।তাহলে সহজেই মনে থাকবে।

গণিতের প্রস্তুতি: গণিতের অনেক প্রশ্নই টেক্সট বই থেকে সরাসরি তুলে দেয়া হয়। আবার এমনও দেখা যায়, কিছু প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে দেয়া হয়। সুতরাং মূল বই ভালোভাবে পড়া থাকলে গণিতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোন লেখকের বই পড়ব এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগে। ভালোভাবে বুঝে পড়লে যে কারো বই পড়লেই চলবে। বলবিদ্যার অঙ্কগুলো বুঝে করতে হবে পাশাপাশি ক্যালকুলাসের সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে। গণিতে ভালো করার জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।

রসায়নের প্রস্তুতি: রসায়নের প্রশ্ন যদিও গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো এতটা কঠিন হয় না। তবুও এ বিষয়টাতে অনেক সময় দিতে হবে, বিশেষ করে জৈব রসায়নে। রসায়ন যত বেশি চর্চা করবে, তত ভালো করা সম্ভব। বিক্রিয়াগুলো বারবার লিখে চর্চা করতে হবে এবং ভাল করে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় সব বিক্রিয়া, সংকেত আলাদা খাতায় লিখে নোট করে রাখলে। তাহলে পরীক্ষার দু-এক দিন আগে সেগুলো একপলক চোখ বুলিয়ে নেয়া যাবে।

বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় রসায়ন দ্বিতীয় পত্র থেকে রচনামূলক প্রশ্ন তেমন একটা আসে না। তবে দ্বিতীয় পত্রে প্রচুর বিক্রিয়া, পরীক্ষাগার প্রস্তুতি, শিল্পোৎপাদন, সংকেত, রূপান্তর পড়তে হবে। লক্ষ্য করে দেখা গেছে বেশির ভাগ প্রশ্নই করা হয় প্রথম পত্রের প্রথম দিককার অধ্যায়গুলো থেকে। তাই এসব অধ্যায় গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

আরও যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে-

বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে। এতে যেমন পরীক্ষার প্রশ্ন সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট দেয়া যেতে পারে। এতে নিজেকে যাচাই করে নেয়া যায়। তবে কোচিং এ না গিয়েও নিজেকে যাচাই করা সম্ভব।
সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা করা যাবে না। যারা মনে করছে, শেষ মুহূর্তে সাজেশন ধরে প্রস্তুতি নেবে, তাদের বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেয়াটাই বৃথা হবে। অনেকেই বিভিন্ন গাইড বইয়ের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নেয়। এটা আদতে কোনো সুফলই বয়ে আনবে বলে মনে হয় না। মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই এ কথাটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অনেকের খারাপ করার প্রধান কারণ বেশি দুশ্চিন্তা বা আতংকে থাকা। অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন যা পড়েছে তার বেশির ভাগই পরীক্ষার হলে গিয়ে ভুলে যায় এবং কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি সময় নষ্ট করে ফেলে। ফলে সহজ প্রশ্নগুলো সমাধান করে আসতে পারে না। এতে আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কোনভাবেই পরীক্ষার হলে হতাশ হওয়া যাবে না। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রশ্ন যত কঠিনই হোক না কেন, কোনোমতেই ঘাবড়ানো যাবে না। সব কিছুতে নিজের ওপর আস্থা থাকা চাই। তাহলেই বুয়েটে চান্স পাওয়া সহজ।

(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here - https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.