টেস্টের পরের জন্য HSC আদর্শ রুটিন


টেস্টের পরের জন্য আদর্শ রুটিন চাইছিলা অনেকে।একটা মডেল দিয়েছি নিচে।তবে, ডিরেক্ট রুটিন দেবার চেয়ে মূলত প্রতিদিন কোন বিষয় কতটুকু গুরত্ব দিবা এসব সম্পর্কে কিছু ধারণা দেবার চেষ্টা করব। আমার যদিও মনে হয়, এসব ভালই জানা আছে তোমাদের।
উচ্চতর গণিত- প্রতিদিন পড়াতে গণিত থাকবে। প্রতিদিনই (এটলিস্ট ৬ দিন!) যাই কর না কেন, এটি মিস দিও না। জ্যামিতি অংশ টা সোজা, বীজগণিতে খাটুনি কম, বেশি পরিশ্রম টা দেবে ত্রিকোণমিতি আর ক্যালকুলাসে। প্রতি সকাল টা গণিতে ১-২ ঘণ্টা ব্যয় কর।
অনেকে আছ যাদের গণিত ফোর্থ সাবজেক্ট এবং মেডি কোচিং এর কথা ভাবছ। দেখো, মেডির জন্য ম্যাথ লাগে না সত্য,কিন্তু মেডিতে না পেলে কি করবা? আলাদা ভাবে কোচিং এ ম্যাথ কোর্সে ভর্তি হবার চেয়ে ম্যাথ এ মোটামুটি ভাল একটা বেজ থাকলে ৩-৪ মাস গ্যাপ থাকলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। ভেবে দেখ ব্যাপার টা।
জীববিজ্ঞান- দুটি অংশ আছে, প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২/৩ দিন রাখবে। যারা মেডি কোচিং করবে, এখন থেকেই জীববিজ্ঞানে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেবার চেষ্টা করো। কাজে দেবে। আর ভার্সিটি/ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইচ্ছুক মানে যে বায়োলজি বাদ, তা কিন্তু নয়। ঢাবি তে চান্স পেতে চাও না? বায়োলজি তে ভাল না করলে পিছায় যাবে অনেক।
প্রাণিবিজ্ঞানে মানবদেহের রক্ত, বর্জ্য, সমন্বয়,প্রতিরক্ষা, জীনতত্ত্ব ভীষণ ইমপর্টেন্ট। উদ্ভিদবিজ্ঞানে কোষ রসায়ন, অণুজীব, শারীরতত্ত্ব এগুলো তে বেশি সময় দেবার চেষ্টা করবে।
পদার্থবিজ্ঞান- প্রতিটা চ্যাপ্টার এর সূত্র যেন আত্মস্থ থাকে। পুরোনো বই এর ম্যাথ করতে পার দক্ষতা আনার জন্য। ভাল কথা, টেস্ট পেপারে ইউনিক কিছু ম্যাথ থাকে। প্রাকটিস করবা। কাজে দেবে অনেক। অনেকে আছ, শুধু ম্যাথে বা প্রতিপাদনের এপ্লিকেশন টাইপ ব্যাপার গুলোয় বেশি গুরত্ব দাও, জ্ঞানমূলকের ধার ধারো না। ব্যাপার টা এইচএসসি তে ইফেক্ট ফেলবে, সো সাবধান। ফিজিক্সে সবই দরকারি, আলাদা করে কোনো চ্যাপ্টারের কথা বলতে চাচ্ছি না।
রসায়নঃ আলাদা করে বলতে গেলে জৈব যৌগ। উচ্চতর গণিতের পর সর্বোচ্চ সময় টা জৈব যৌগে দেয়া চাই। অনেকে আছ টাইট্রেশন এর ম্যাথ গুলো বড় দেখে ভয় পাও, এভয়েড করার ট্রাই কর, এটা করবা না। সবই অনুশীলনের ব্যাপার। সপ্তাহে ২দিন থাকুক কেমিস্ট্রির জন্য।
আইসিটি- সোজা ভেবে কিংবা কম সিলেবাস জন্য এভয়েড করার চেষ্টা করে পা পিছলাও অনেকেই। যদিও ভর্তি পরীক্ষায় এটির গুরুত্ব নাই এখন পর্যন্ত, কিন্তু hsc তে এটার জন্য নিজের পয়েন্ট কমে গেলে আফসোস নিজেরই হবে। সো সপ্তাহে ২ দিন রাখ আইসিটির জন্য।
আর কি বাদ থাকল? বাংলা? ইংরেজি? আমার মনে হয় না বাংলা কেউ আগে থেকে সেভাবে পড়। দরকারও নাই অত টা। তোমাদের নতুন বাংলা বই দেখি নি আমি তাই সিলেবাসে কি আছে জানি না ইংরেজি?দ্বিতীয় পত্রের ১ টা করে টেস্ট পেপার কোশ্চেন সলভ করতে পারবা না সপ্তাহে ২-৩ দিন? ৪৫ মিনিট লাগে।
প্রতিদিন ম্যাথ যুক্ত করে একটি রুটিন নিজেই তৈরি করতে পারবা মেবি এভাবে-
*শনি- গণিত (সকাল)+ ইংরেজি ২য় (সকাল)+ কোচিং (যদি থাকে) এর পড়া এবং কোচিং (আমি জানি না কার কখন কোচিং! নিজে নিজে ঠিক করে নিও) + পদার্থবিজ্ঞান
*রবি- গণিত(সকাল)+ আইসিটি (সকাল) + কোচিং+ পদার্থবিজ্ঞান
সোম- গণিত (সকাল)+ ইংরেজি (সকাল)+ কোচিং+ রসায়ন
মঙ্গল- গণিত (সকাল)+ কোচিং+ রসায়ন
বুধ- গণিত(সকাল)+ কোচিং+ ইংরেজি ১ম+ উদ্ভিদবিজ্ঞান
বৃহঃ গণিত+ প্রাণিবিজ্ঞান+ কোচিং+ আইসিটি
শুক্রঃ স্পেশালাইজড স্টাডি (যেটি তে ল্যাক বেশি!) + সপ্তাহের গ্যাপ যাওয়া পড়া।
আমি বলছি না এটা ফলো কর। বলছি এরকম নিজে নিজে বানিয়ে নাও নিজের সুবিধামত। সবচেয়ে বেটার হয় কোচিং এর সিলেবাস ফলো কর যদি। তাছাড়া একটি করে বই ধরে সম্পূর্ণ টা কমপ্লিট করে আরেকটি শুরু করতে পার। সব তোমার নিজের উপর।
প্রতিটা চ্যাপ্টার পড়বা টেস্ট পেপার টা পাশে নিয়ে। প্যাটার্ণ বুঝতে সুবিধা হবে।
প্রশ্নফাঁসের অপেক্ষায় থাকার মানে কোনো ভর্তি পরীক্ষায় নিজের সুযোগ গলা টিপে মেরে ফেলা। সো সাবধান।Maruful Anam Rangon, BAU
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.