ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ(MEC): দক্ষ প্রকৌশলি গড়ার প্রত্যয়ে



ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যতম সেরা প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ । এটি অন্যান্য সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বি.এস. সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী প্রদানকারী (সরকারি ) প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় । এমইসি বাংলাদেশের প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক হওয়ার জন্য একটি এলিট প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত।

ইতিহাস


২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার নতুন ৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করার উদ্যোগ নেয়। যার মধ্যে প্রথমে একনেকে MEC এর বিল অনুমোদন করে,২০০৭ এ এর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। এটি বাংলাদেশের সরকারী প্রকৌশল সংস্থার সর্বশেষ সংযোজন। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী প্রফুল্ল মতিউর রহমান 4 জুলাই ২009 তারিখে। ২০০৯ সালে ৬০ জন স্টুডেন্ট নিয়ে EEE ডিপার্টমেন্ট দিয়ে এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়।ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশে নতুন এবং আধুনিক প্রকৌশল কলেজের একটি। স্নাতকোত্তর গবেষণা এবং আরও প্রকৌশল বিভাগ শীঘ্রই চালু করা যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নীত হবে এবং নামকরণ করা হবে: ময়মনসিংহ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এমইউইটি)।এই কলেজে বর্তমানে EEE ৯ম ব্যাচ এবং সিভিল এর ৩য় ব্যাচ চলছে। 

অবস্থান

ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রায় ৭কিমি দূরে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে রহমতপুর বাইপাস মোড় সংলগ্ন ক্যামপাসটি খাগডহর, ময়মনসিংহ সদর, ময়মনসিংহ এ অবস্থিত।

ক্যাম্পাস

৭ একরের উপর নির্মিত ক্যাম্পাসে ... ৩টি ডিপার্টমেন্ট ভবন ২টি ছেলেদের হল ১টি মেয়েদের হল ১টি লাইব্রেরি ভবন ১টি প্রশাসনিক ভবনসহ 13 টি ভবন রয়েছে। এছাড়া শহীদ মিনার,মসজিদ আছে। মুল ক্যম্পাসের বাহিরে টিচার্স কোয়ার্টার এ আছে ৩ টি ভবন ও ১ টি প্রিন্সিপ্যাল এর ডুপ্লেক্স বাড়ি। বর্তমান এ এখানে ২টি ডিপার্টমেন্ট চালু আছে, এবছর থেকে আরও ১টি ডিপার্টমেন্ট চালু হতে যাচ্ছে।

একাডেমিকঃ

এখানের ভর্তি কার্যক্রম ও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়.. গত ২ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি ইউনিট নামে MEC এবং FEC কে সমন্বয় করেছে। এবার এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে BEC তিনটি কলেজ ই মেডিকেল কলেজ গুলোর মতো ঢাবি অধিভুক্ত.. শিক্ষা কার্যক্রম(পরীক্ষা,রেজিস্ট্রেশন,সিলেবাস প্রণয়ন)ঢাবি কতৃক করা হয়। এর মানে কখনোই এমন না এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,এর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সম্পর্ক শুধু মাত্র একাডেমিক কারিকুলাম আর সার্টিফিকেট পর্যন্ত......।। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রায়োরিটি দিলেও উন্নত রাষ্ট্র গুলোর মতো স্নাতক(under graduate) লেভেলে শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজ গুলার সিস্টেম চালু আছে, সেগুলা সব বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম চালায়। প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ই কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ঢাকা মেডিকেলের কথা। এটি ঢাবি এর অধিভুক্ত একটি স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত এবং সম্পূর্ন একাডেমিক কার্যক্রম(রেজিস্ট্রেশন,পরীক্ষা,সিলেবাস প্রণয়ন) এসব ঢাবি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বলে কি তারা কখনো বলে তারা ঢাবির স্টুডেন্ট? বলে না, তারা গর্ভের সাথেই বলে তারা ঢামেকের স্টুডেন্ট। আর ঠিক এমন ই বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলো, উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের ৩ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত এবং ১ টি শাবিপ্রবি অধিভুক্ত। এবার আসি সার্টিফিকেট এর বিষয়ে... অধিভূক্ত কোন কলেজের সার্টিফিকেট প্রদানের কোন রকম ক্ষমতা নেই। মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং সকল কলেজের সার্টিফিকেটের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এর সার্টিফিকেটের পার্থক্য হলের জায়গায় কলেজের নাম থাকবে।
BoysHall2

আবাসনঃ

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং হলের সুবিধাটি সুপরিচিত। মোট তিনটি আবাসিক হল আছে । পুরুষদের জন্য দুটি হল এবং মহিলাদের জন্য একটি হল। হলের নাম প্রধানত জাতীয় নায়কদের এবং নেতাদের নামে নামকরণ করা হয়। নাম ও ধারণক্ষমতা নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:
  1. অমর একুশ হল ২00  
  2. মুক্তিযোদ্ধা হল 200 
  3. মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি হল 150

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার 

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার একাডেমিক ভবন এবং ছাত্র বাসস্থান থেকে হাঁটা দূরত্ব। একটি কম্প্যাক্ট বিল্ডিংয়ে রয়েছে যা এমইসি-এর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ভালো কিছু সুবিধা প্রদান করে যেমন- পাঠ্যবই সুবিধা প্রদান, বই ঋণদান, জার্নাল ইত্যাদি । একাডেমিক পাঠক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বিষয়বস্তুগুলি প্রযুক্তিগত প্রবণতাগুলির সাথে বইয়ের সংগ্রহ সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আপডেট করা হয়। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অনলাইন সুবিধা ছাড়াও পাওয়া যায়। এই আধুনিক গ্রন্থাগারে বিপুল পরিমাণ বই পাওয়া যায়। ৫ তলাবিশিষ্ট লাইব্রেরী ভবনে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সভূক্ত শত শত দেশী-বিদেশী বই সম্বলিত ১টি স্টাডি কক্ষ, ১টি সেমিনার কক্ষ, এছাড়াও লাইব্রেরী ভবনে রয়েছে সর্বক্ষণ অনলাইনে পড়াশুনা করার সুবিধা। এছাড়া প্রতিটি কক্ষে প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা এখান হতে তাদের প্রয়োজনে বই ধার নিতে পারে।

অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স এবং সেমিনার হল 

কলেজের প্রায় 700 জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সকল আধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স রয়েছে যা সম্মেলন, সেমিনার এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ধারণ করতে সক্ষম । এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদানের সীমিত ক্ষমতা নিয়ে সেমিনার ও সম্মেলন কক্ষ রয়েছে।

বিভাগ 

  1. ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (ইইই)- ৬০ 
  2. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিই)-৬০ 
  3. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (সিএসই)-৬০ 
২008 -২009 সেশনে, ইইই ডিপার্টমেন্টকে এমইসি'র প্রথম ব্যাচ হিসেবে চালু করা হয়েছিল। 2014-15 সেশনে, সিই বিভাগ চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে দুটি বিভাগ পূর্ণ গতিতে চলছে। প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী এমইসিতে দুটি বিভাগে পড়ছে। 

অ্যাডমিনিস্ট্রেশন 


প্রিন্সিপালঃ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল হালিম
EEE বিভাগের প্রধানঃ ডা। রতন কুমার নন্দী
সহকারী অধ্যাপকঃ এস এস এম আনোয়ারুল হক
সিই বিভাগের প্রধানঃ ড। মোঃ মাহবুব আলী
সহকারী অধ্যাপকঃ সালমা বেগম
কলেজটিতে মোট ১৭ জন শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন

ল্যাব সুবিধা 

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ল্যাবের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি আছে যা আধুনিক, আপডেট এবং ভাল সজ্জিত। এখানে শিক্ষার্থী নিম্নোক্ত ল্যাবের সুবিধা পাচ্ছে: -

ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (ইইই)

  1. ইলেকট্রনিক্স ল্যাব 
  2. বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব 
  3. বৈদ্যুতিক মেশিন ল্যাব 
  4. পাওয়ার সিস্টেম এবং উচ্চ ভোল্টেজ ল্যাব 
  5. ডিজিটাল সিংনাল প্রসেসিং ল্যাব 
  6. কাঠামোগত মেশিন ল্যাব

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিই)

  1. Machine Shop
  2. Welding Shop
  3. Surveying Shop
  4. Foundry Shop
  5. Transportation Lab
  6. Drawing Laboratory
  7. Hydraulics Lab
  8. Wood Shop
  9. Environment Lab
  10. Image Processing Lab
  11. Geo- Technical Lab

    কম্পিউটার এবং বিজ্ঞান প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই)

    1. নেটওয়ার্কিং ল্যাব 
    2. যোগাযোগ এবং মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব 
    3. কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টার ল্যাব 
    4. কম্পিউটার ল্যাব 
    5. মাইক্রোপ্রসেসার ল্যাব 
    6. সফটওয়্যার ল্যাব

    বৃত্তির সুযোগ  

    প্রতিটি সেমিস্টারের সরকার সিজিপিএ ভিত্তিতে (প্রতি ব্যাচ বা বিভাগে 50% ছাত্র) ছাত্রদের জন্য 1950 টাকা প্রদান করবে। মেয়েদের জন্য কোটাও পাওয়া যায়। স্নাতক শেষ করার পর, একটি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে অধ্যয়ন একটি সুযোগ আছে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র rank দ্বারা গণনা করা হয়। একটি নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে, এমইসিয়ান ছাত্ররা টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোরিয়া, ইউনিভার্সিটি এক্স-মার্সেই পূর্ণ বৃত্তির সাথে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে।
    EEE DAY-2K17 বুয়েটে পোস্টার প্রেজেন্টেশনে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের টিম Alpha বুয়েটের টিম Renewable এর সাথে যৌথভাবে সেকেন্ড রানার্সাপ হয়েছে।

    কৃতিত্ব 

    বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা বৃত্তি পেয়ে থাকে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি গবেষণা সম্প্রদায় এবং একটি বিজ্ঞান ক্লাব রয়েছে যার নাম আ.এস.এল (আলফা বিজ্ঞান ল্যাব), একটি বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক ক্লাব ওবায়োওভ। এটি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কার আছে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এই ক্যাম্পাস থেকে আসা শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে খুব ভাল কাজ করছে।

    মইক হল অফ স্কলার্স :

    • 11) শরীফ মাসুম, 1ম ব্যাচ, উচ্চশিক্ষা, তড়িৎ প্রকৌশল, টেম্পেয়ার ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, ফিনল্যান্ড
    • 12) রাতুল শাফি, 1ম ব্যাচ, উচ্চশিক্ষা, ফোটোনিক্স, ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, ফিনল্যান্ড
    • 13) দেবাশিষ সরকার বন্ধন, 1ম ব্যাচ, উচ্চশিক্ষা, ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি, মস্কো পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, রাশিয়া
    • 14) খন্দকার এনামুল হক, 2য় ব্যাচ, সহকারী গবেষক, FH Oberösterreich Campus, Hagenberg. উচ্চশিক্ষা, এনার্জি ইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লাইড সায়েন্সেস, হেগেনবার্গ, অস্ট্রিয়া
    • 15) মাহমুদুল হাসান, 2য় ব্যাচ, ফোটোনিক্স এন্ড অপ্টোইলেকট্রনিক্স, Aix-Marseille University, France, Scholar of European Union Erasmus Mundus Program
    • 16) এবি বাশার, 2য় ব্যাচ, উচ্চশিক্ষা, রাশিয়া
    • 17) সালাহউদ্দিন পারভেজ, 2য় ব্যাচ, এমএস, বুয়েট
    • 18) ইফতেখার লিওন, 2য় ব্যাচ, MS, MIST, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, Bangladesh Rural Electrification Board (BREB)
    • 19) ফারহান ফুয়াদ, 3য় ব্যাচ, প্রকৌশলী, ECPV Chittagong Limited,108MW HFO Fired IPP

    ক্রীড়া এবং বিনোদন

    কলেজটি ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে। শিক্ষার্থীরাও টেনিস, ব্যাডমিন্টন এবং অন্যান্য গেম খেলে থাকে। ক্রীড়া এবং গেম প্রতিযোগিতাগুলি ক্যাম্পাস জীবনের বৈশিষ্ট্য। ছাত্ররা প্রতি বছর ক্রিকেট এবং ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, টেবিল টেনিস, দাবা ইত্যাদির মতো ইন্ডোর প্রতিযোগিতা্ও অনুষ্ঠিত হয়।

    ভর্তি প্রক্রিয়া

    এমইসি স্নাতকোত্তর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেকনোলজি ইউনিট। ডিউ টেকনোলজি ইউনিটে 3 টি  প্রকৌশল কলেজ এবং ২ টি বেসরকারি ইন্সটিটিউশন (নিটার এবং এসটিইসি) রয়েছে। 

    আবেদন করার যোগ্যতা

    • বাংলাদেশী নাগরিকরা আবেদন করতে পারেন 
    • এসএসসি (বিজ্ঞান) বা সমমানের এবং এইচ.এস.সি (বিজ্ঞান) বা মোট GPA 6.0 সমমান 
    • প্রতিটি গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিভাগে ছাত্রদের জিপিএ 2.00 থাকতে হবে। 
    • ২01২ সালের আগে এসএসসি বা এ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে না। 
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেকনোলজি ইউনিট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 2017-18 
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেকনোলজি ইউনিট ভর্তি আবেদন অনলাইন: 
    • আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই 03 ডিসেম্বর থেকে ২3 ডিসেম্বর ২017 পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

    আবেদন করতে :

    1. ঢাবি ভর্তি ওয়েবসাইটে ( http://admission.eis.du.ac.bd/index.php?act=information/get_notices/tec ) ভর্তির সাধারন নির্দেশাবলি থাকবে। 
    2. আবেদন / লগইন বাটন ক্লিক করুন 
    3. আপনার এইচএসসি রোল, পাসিং বছর, পরীক্ষা বোর্ড এবং এসএসসি রোল দিন এবং পরবর্তী ক্লিক করুন 
    4. আপনি যদি ডিউ অনার্সের জন্য কোনও ইউনিটের ভর্তি আবেদনকারী হন তবে আপনি আপনার ফটো এবং অন্যদের দেখতে পাবেন। যে ক্ষেত্রে, আপনি আবেদন করতে ক্লিক করুন 
    5. আপনি যদি নতুন আবেদনকারী হন, আপনার ফটো, মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন 
    6. জমা দিন ক্লিক করুন 
    7. এর পরে, যাচাইকরণের জন্য আপনাকে একটি এসএমএস পাবেন 
    8. 16321 তে যেকোন অপারেটরের (টেলিটক ব্যতীত) এসএমএস পাঠান। 
    9. ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য আপনি একটি নিশ্চিতকরণ কোড পাবেন। 
    10. 7 নম্বর কোড দিন এবং পরবর্তী প্রক্রিয়াটি জমা দিন এবং অনুসরণ করুন 
    11. উল্লেখিত Equivalence ID এইচ এস সি ও এস এস সি এর রোল এর স্থানে ব্যাবহার করে যথা নিয়মে টাকা জমা দেয়ার রশীদ গ্রহন করতে হবে ।

    ভর্তি পরীক্ষা

    • ১ । ভর্তি পরীক্ষা ১২০ মার্ক এর, প্রশ্ন ১২০টি, প্রতিটি প্রশ্নে ১ নাম্বার, MCQ পরীক্ষা হবে,কোন লিখিত পরীক্ষা হবে না । সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
    • ২ । মোট ১২০ টি প্রশ্ন হবে ১২০ নম্বরের ।
    • ৩ । ইংরেজী ১৫,গনিত ৩৫,রসায়ন৩৫,পদার্থ ৩৫
    • ৪ । পাশ নম্বর ৪৮ ও কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
    • ৫। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না ।

    ফলাফলঃ

    • ১ । মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে অর্জিত মেধাস্কোর অনুসারে মেধা তালিকা করা হবে যেখানে SSC পরীক্ষার প্রাপ্ত জি পি এ (৪র্থ বিষয় সহ) এর ৬ গুন ও HSC এর ১০ গুন । এইচ,এস,সি এবং এস,এস,সি রেজাল্ট থেকে আসবে ৮০ নাম্বার। সর্বমোট ২০০ নাম্বারের উপর মেধাক্রম তৈরি করা হবে।
    • ২ । ৪৮ এর কম পেলে মেধাস্কোর করা হবে না ।
    • ৩ । ফলাফল এস এম এস ও ঢাবি ওয়েবসাইটে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে।

    সংযুক্তিঃ

    1. বিগত বছরের প্রশ্ন ২০১৫-১৬ঃ  https://www.facebook.com/groups/DUTechEngrColleges.EngineersDiary.com.BD/437180286698354/
    2. প্রশ্ন ২০১৬-০১৭ ঃ https://www.facebook.com/groups/DUTechEngrColleges.EngineersDiary.com.BD/437179996698383/
    3. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    4. ময়মনসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    5. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ 
    6. নিটার রিভিউঃ 
    7. স্টেক রিভিউঃ 
    8. Shohidul Haque Engnr. College Facebook page
    9. সিভিল রিভিউঃ 
    10. ইইই রিভিউঃ 
    11. সিএসই রিভিউঃ 
    12. টেক্সটাইল রিভিউঃ 
    13. আইপিই রিভিউঃ 
    14. ফ্যাড রিভিউঃ 
    15. Technology Unit Review 
    16. ঢাবি ওয়েবসাইটঃ 
    17. প্রযুক্তি ইউনিট নোটিশ লিংকঃ 
    18.  DU Technology Unit Official Admission & Information Desk  join us
    আরও জানতে যোগ দিন DU Technology Unit official admission & Information Desk গ্রুপে।
    আরো কোন প্রশ্ন থাকলে এই লেখার নিচে কমেন্ট করুন।

     সার্টিফিকেটঃ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পিউর বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়

    এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারো এর মান কেমন??
     এটার মান নিয়ে প্রশ্ন করলে স্পেসিফিক ভাবে কিছু ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে হবে, কয়েকটি ব্যাপারে মান নিয়ে উত্তর দেয়া যেতে পারে...
    • হল ফ্যাসেলিটিস কেমন?
    •  -যথেষ্ট ভালো
    •  ল্যাব ফ্যাসেলিটিস কেমন? 
    • -ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ল্যাবে যা আছে আমাদের ৩ টি ডিপার্টমেন্ট এ ঠিক সেসব ই আছে , ইন ফ্যাক্ট আমাদের সিএসই ডিপার্টমেন্ট এ ৪৫০+ কম্পিউটার ই আছে। ইইই ডিপার্টমেন্ট এ আছে উইন্ডমিল যা আর কোন ভার্সিটিতে আছে কি না জানা নেই। 
    • লাইব্রেরি ফ্যাসেলিটিস কেমন ? -সাধারন পাবলিক ভার্সিটিতে যা তেমন ই, খুব বেশি বা কম এখানে নেই। এখন আমি যদি হুট করে বলি যে পাবলিক ভার্সিটি থেকে কম নয় তাহলে অনেকের ইগোতে বাধবে আবার কম বললে এসব প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট দের ইগো তে বাধবে, কিন্তু এটা ঠিক নাম উল্লেখ করছি না দেশের অনেক পাবলিক ভার্সিটি থেকে ব্যাটার.. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর ৯ম ব্যাচ চলছে অলরেডি ৫ টা ব্যাচ বের হয়ে গিয়েছে অনেক সিনিয়র দেশের বাহিরে ভালো ভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়েছে, আরেক জন গত মাসে ৫+ ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়েছে আর শেষ পর্যন্ত নাসার এক প্রজেক্টে ৩ বছরের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। আসলে ৯-১০ বছরে মনে হয় না এসব খারাপ অর্জন ... আজকের রুয়েট-চুয়েট-কুয়েট-ডুয়েট সব ই কলেজ থেকে ভার্সিটি হয়েছে, ইন ফ্যাক্ট সেখানের প্রবীন প্রফেসর গুলাও একসময়কার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্ট ছিলো। আমরা অনেক বাধা বিপত্তি পার করে এখন ঢাবি-বুয়েট-রুয়েট-চুয়েটের কম্পিটিশন গুলায় জয়েন করছি, সিনিয়র ভাইয়েরা পেপার সাবমিট করছে... এখন এমন না এখানে কাউকে ধরে এনে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে, আজকের মতো এতো বাছবিচার কিংবা চিন্তা ভাবনা থাকলে হয়তো এখনকার রুয়েট-চুয়েট-কুয়েট-ডুয়েট কলেজ ই থেকে যেত।যদিও এখন দেশে অনেক অপশন আছে...তাই পুরোটা ডিপেন্ড করে স্টুডেন্টের উপর। ইচ্ছে থাকলে অন্যান্য পাবলিক ভার্সিটির মতো পরীক্ষা দাও চান্স পেলে না হয় ডিসিশন নিও পড়বে কি না। আজকে মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ভার্সিটি কিংবা অন্যান্য ভার্সিটির আন্ডারে এ নিয়ে কারো সমস্যা নেই কিংবা তাদের মাথা ব্যাথা নেই তারা কাদের আন্ডারে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের নামেই চলছে। এটাও সেইম নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখে, ঢাবি অধিভুক্ত এমন কোন মেন্টালিটি নিয়ে এখানে পরীক্ষা দিলে হয়তো ভুল ই করবে। শুরু হয়ে গেছে ঢাবি প্রযুক্তি ইউনিটের মাধ্য়মে ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া । আর এর মাধ্যমেই পরীক্ষা দিয়ে ময়মনসিংহ ইন্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতে পারো।

    বিশেষত্ব:

    দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন তথাকথিত নোংরা ছাত্ররাজনীতির করাল গ্রাসে আক্রান্ত তখন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সেদিক থেকে পুরোপুরি মুক্ত । এ কলেজের শিক্ষার্থীরা  এই কলুষিত ছাত্ররাজনীতির বিরূদ্ধে একত্রিত। এ কলেজ পুরোপুরি মাদক এবং ইভটিজিং মুক্ত । এখানে ইভটিজিং করলে কেউ ছাড় পাবে না , ইভটিজারের স্থান এই ক্যাম্পাসে হবে না ।  

    নেগেটিভ মার্কিং নেই তাই যারা পরীক্ষা দিচ্ছো তারা ভালো করে পড় যাতে ময়মনসিংহ ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ১৭-১৮ ব্য়াচের একজন হতে পারো।

    এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানায় :
    ফোন : ৮৮-০৯১-৫২১১১ 
    মোবাইল: ০১৯৪৪৪২৬২৮৫
    ওয়েবসাইট : http://www.mec.ac.bd
    এই লেখাটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো

    Post a Comment

    0 Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.