IELTS কি এবং কেন?


আজ আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো

আপনার অনেকেই শুনে থাকবেন আইইলটিএস সম্পর্কে...আইইএলটিএস কি?? কেনই বা প্রয়োজন, এসব প্রশ্নের উত্তর ...

আইইএলটিএস কি?

আইইএলটিএস’ হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। IELTS (The International English Language Testing System)। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা ভিসার আবেদন করতে ভালো আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষাপদ্ধতি দুই ধরনের, ‘একাডেমিক’ ও ‘জেনারেল’। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের ‘একাডেমিক আইইএলটিএস’ টেস্টে অংশ নিতে হয়। যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।

আইইলটিএস কেন দরকার?

আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়তে যাবেন সেক্ষেত্র আইইএলটিএস অত্যান্ত প্রয়োজনীয়...যাদের মাতৃভাষা ইংরেজী নয় তাদেরকে আইইলটিএস পরীক্ষা টেস্টে অংশ নিতে হয়!শুধুমাত্র যে বিদেশে পড়াশোনার জন্যই আইইএলটিএস দরকার তা কিন্তু নয়...দেশেও এমন অনেক প্রতিষ্টাতাই আছে যারা জব সার্কুলারে আইইএলটিস ভালো স্কোর ডিমান্ড করে...তাই দেশের মাটিতেও আইইলটিএম দারুণ সহায়ক হতে পারে আপনার জন্য...এছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইইলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক এবং আরো একটি তথ্য যে আন্তর্জাতিকভাবে টোফেলের চেয়ে আইইলটিএস র গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি!

গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বজুড়েঃ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ সূত্রে জানা যায়, ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী উচ্চশিক্ষা ও চাকরির লক্ষ্যে প্রতিবছর আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশনস ডাইরেক্টর পিটার এশটন জানান, উচ্চশিক্ষা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে টোফেলের চেয়ে অনেক এগিয়ে আইইএলটিএস।

কারা অংশ নিতে পারে??

মজার ব্যাপার হলেও সত্যি যে আইইএলটিএস টেস্টে অংশ নিতে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই...মুল বিষয় আপনি মুল টেস্টে কেমন করছেন...আপনার এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড মেইন ফ্যাক্ট না!আপনি এইসএসসি স্টুডেন্ট থাকাকালীন ও টেস্টে অংশ নিতে পারেন আবার গ্রাজুয়েশন কম্প্লিট করেও অংশগ্রহণ করতে পারেন!

পরীক্ষা পরিচালনাঃ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে পরিচালনা করে আইইএলটিএস পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় নীতি নির্ধারক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্বব্যাপরী পরীক্ষা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য পৌছে দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করছে বিট্রিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া। সারা বিশ্বে একই প্রশ্নপত্র ও অভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয়।কিছু ভুল ধারণাঅনেকেই মনে করেন আইইএলটিএস অনেক কঠিন একটি পরীক্ষা। আসলে এটি ভুল ধারণা। ব্রিটিশ কাউন্সিল সূত্র মতে, ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হয়েও এ পরীক্ষায় ভালো স্কোর সম্ভব। যদিও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষা পরিচালিত হয় বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

দুটি মডিউলে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হলে সাধারণত জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়া সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি এবং ইমিগ্রেশনের জন্য জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে। আইইএলটিএস পরীক্ষায় বসার আগে জেনে নিন কোন মডিউলে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। দুটো পদ্ধতিতে পার্থক্য খুব সামান্য। আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই চারটি অংশ থাকে। Listening, Reading, Writing ও Speaking।

লিসেনিং (Listening):

কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এ অংশে। চারটি বিভাগে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আপনাকে একটা প্যাসেজ ইংরেজিতে বাজিয়ে শোনানো হবে, আর সামনে থাকবে প্রশ্নপত্র, ঐ শোনার ভিত্তিতে আপনাকে উত্তর করতে হবে, কী বোঝানো হয়েছে ঐ অডিও টেপে। মোটামুটি ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। শেষ ১০ মিনিটে উত্তরপত্রে উত্তর লিখতে হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়। কোনো অংশ শুনে না বুঝতে পারলে সেটা নিয়ে আর মাথা না ঘামানোই ভালো। কারণ, এতে পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উত্তর বুঝতে না পারার ঝুঁকি থাকে। সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্য পূরণ ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

রিডিং (Reading):

অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে IELTS এর সবগুলো পার্টের মধ্যে এটি কঠিন মনে হয়। এখানে তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সময় এক ঘণ্টা। Reading-এ টেস্ট করা হয় একটা প্যাসেজ পড়ে বোঝার ক্ষমতা। আপনাকে বিশাল বিশাল তিন-চারটা প্যারাগ্রাফ দেয়া হবে, তার থেকে আপনাকে অত্যন্ত সিম্পল সিম্পল উত্তর দিতে হবে। কিন্তু ঐ সিম্পল সিম্পল উত্তরগুলো আপনি সহজে পারবেন না, যদি না আপনি প্যাসেজটা ঠিকমতো বুঝতে পারেন। প্যাসেজটা আপনি ঠিকমতো বুঝতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে, আর তাহলে বাকি প্যাসেজে সময় কমে আসবে। এভাবেই এই সহজ পরীক্ষাটা সব পরীক্ষার্থীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ এই পরীক্ষায় আপনি যদি কিছু কৌশল রপ্ত না করে চলে যান, তাহলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবেন না, সে আপনি যতই কনফিডেন্ট হোন না কেন? ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারেন। এখানেও বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে। পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোয় দাগ দিয়ে রাখুন। উত্তর খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

রাইটিং (Writing):

এখানে যাচাই করা হয় আপনি কতটুকু কল্পনাশক্তি খাটাতে পারেন এবং একটা বিষয়ের উপরে লিখতে পারেন। এক ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে দ্বিগুণ নম্বর থাকে। এজন্য শুরুতেই দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর ভালোভাবে লিখতে পারেন। প্রথম প্রশ্নটিতে মোটামুটি ২০ মিনিট সময় দিতে পারেন। অন্তত ১৫০ শব্দের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দিতে ৪০ মিনিট নিতে পারেন। অন্তত ২৫০ শব্দ লিখতে হবে। শব্দসংখ্যা একটু বেশি হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু কম হলে নম্বর কমে যাবে। প্রথম প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো চার্ট, ডায়াগ্রাম থাকে। এ থেকে নিজের কথায় বিশ্লেষণধর্মী উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো বিষয়ের পক্ষে, বিপক্ষে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।

স্পিকিং (Speaking):

এখানে কোনো লেখালেখী নেই। আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষাস্থলে (সাধারণত ব্রিটিশ কাউন্সিলে) যেতে হবে। সেখানে দু-তিনজন পরীক্ষকের সামনে আপনাকে বসতে হবে। তাঁরা আপনাকে বিভিন্নভাবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করবেন, আপনি তাঁর উত্তর দিবেন। তিনটি অংশে মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন – পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে হয়। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে চিন্তা করার জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়। তৃতীয় অংশে চার থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য পরীক্ষকের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কথোপকথন চালাতে হয়। উদাহরন: Suppose, you have visited a Pharmaceutical company. Now would you please explain what did you see there?- মার্কা একটা প্রশ্ন করতে পারে।

ভাইয়া আইইলটিএস র প্রস্তুতি কিভাবে নিবো??

না ভাইয়া খুব বেশি উদ্বিগ্ন হতে হবেনা আইইএলটিএস টেস্টের জন্য...অল্প অল্প করে নিয়মিত প্রস্তুতি আপনাকে পৌছে দেবে সাফল্যের দোরগোড়ায় ইনশা আল্লাহ...আপনি কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন তা করবে এতদিনে আপনার ইংরেজীতে অর্জিত জ্ঞান ঠিক কেমন! আপনা কেমন দক্ষ ইংরেজী বলা,লিখা সার্বিক দিক দিয়ে!অনেকেই বলবেন, ভাইয়া আমি ইংরেজীতে খুব দুর্বল,তাহলে কি আমি পারবনা?? কে বলেছে আপনি পারবেন না?? এখন থেকেই অল্প অল্প করে শুরু করুন,আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না ইনশা আল্লাহ...আবার অনেকে ভাবতে পারেন,আমি তো ইংরেজীতে খুব ভালো...তেমন কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই আমি আইইলটিএস টেস্টে অংশ নেব।তিতা হলেও সত্য যে ভাল প্রস্তুতি ছাড়া এতে আপনি আশানুরুপ স্কোর তুলতে সমর্থ হবেন না।

কখন শুরু করবেন প্রস্তুতি??

এটা আসলে নির্ভর করবে আপনার ইংরেজী তে দক্ষতার উপর,আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনার দুর্বলতা আছে ইংরেজীতে,তো আমি বলবো স্টার্ট ফরম নাও,এখন থেকেই শুরু করুন,প্রতিদিন কাজের ফাকে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন এর জন্য...এছাড়া মোটামুটি অন্তত আইইএলটিএস টেস্টের ০৩ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা উচিত।একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক্ষেত্র যে ঘড়ি ধরে প্রশ্ন সমাধান করা।এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার প্রস্তুতির জন্য...সম্ভব হলে এমন পরীক্ষার পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা দিন।নীলক্ষেত এ কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়,পারলে প্রশ্নপত্রগুলো সলভ করুন,তাহলে প্রশ্নের প্যাটার্ন বুঝতে পারবেন।এছাড়াও বাজারে অনেক বই পাবেন এ সংক্রান্ত...

কোচিং করবো কিনা??

এটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার,তবে যাই করুন না কেনো বাড়িতে পড়াশোনা করতে হবে...কারণ কোচিং আপনাকে শুধুমাত্র দিকনির্দেশানা দিবে...তবে আমার মতামত আপনা একটি কোচিং এ ভর্তি হতে পারেন এবং নিদির্ষ্ট পরীক্ষা গুলো দিতে পারেন, এতে আপনার এ্যাবিলিটি এবং আত্নবিশ্বাস বাড়বে...আইইএলটিস নিবন্ধনের সময় আপনাকে দুইটি বই দেওয়া হবে,এ দুটি ভালো করে খুটিনাটি পড়ুন,অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন...আবার এমন বিষয় অাছে যা স্কুল জীবনে পড়েছেন কিংবা ব্যাকরনের অনেক কিছুই জানতে পারবেন।অনেকেই হয়তো আপনাকে অনেক ভীতিমুলক কথা শোনাবে,কিন্তু বিভ্রান্ত হবেন না...আইইএলটিএস সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি বাংলাদেশ। ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি তে প্রচুর পরিমাণে সহায়ক ভালো বই পাবেন।সাধারণ লাইব্রেরি থেকে যেনতেন বই কিনে অর্থ নষ্ট না করে...ব্রিটিশ কাউন্সিল,আইডিপি অস্ট্রেলিয়া থেকেই সহায়ক বই পেতে পারেন।
কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নীলক্ষেতে কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো সমাধান করুন। বাজারে অসংখ্য বই পাবেন। তবে সবই নির্ভরযোগ্য এ কথা বলা যায় না। এ পরীক্ষার জন্য কোচিং করবেন কি না এটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত। তবে যা-ই করুন বাড়িতে নিজে পড়াশোনা করতে হবে। আইইএলটিএস নিবন্ধনের সময় প্রস্তুতির জন্য দুটি ছোট বই দেওয়া হয়। এগুলো ভালোমতো পড়ুন ও সমাধান করুন। ব্যাকরণের অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারবেন। আবার এমন অনেক বিষয়, যা স্কুল-কলেজে পড়েছেন কিন্তু এখন মনে নেই, তা ঝালিয়ে নিতে পারবেন। এ পরীক্ষা নিয়ে অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম কথা শুনতে পাবেন। এতে দ্বিধা বা উত্কণ্ঠায় ভুগবেন না। আইইএলটিএস সম্পর্কে যেকোনো তথ্য পেতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি, বাংলাদেশ। ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিতে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর ভালো বই পাবেন। তবে এগুলো ব্যবহারের জন্য লাইব্রেরির সদস্য হতে হবে। নীলক্ষেত থেকে যেনতেন বই কিনে অর্থ ও সময় নষ্ট না করাই ভালো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, আইডিপি অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই আইইএলটিএস হয়। তাদের কাছ থেকেই যখন সরাসরি তথ্য পাচ্ছেন, তখন অন্য কোথাও যাওয়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

বই পরিচিতিঃ

Listening: লিসেনিং-এর জন্য Cambridge-এর সিরিজ আছে। খুব ভালো। তবে প্রথম দুটো (মানে 1 এবং 2 খুব সাধারণ মানের)। ভালো কিছু শেখা যাবে 3, 4, 5, 6 7, 8. 9 -এই বইগুলো থেকে। এই বইগুলো CD-সহ কিনতে হবে। অথবা কারো থেকে পেনড্রাইভে সফ্‌ট কপিও সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
Reading: অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে রিডিং-এর জন্য Saifur’s-এর বইটা সহজ এবং বোধগম্য।
Writing: রাইটিং-এর জন্য ভালো বই হচ্ছে Moniruzzaman’s IELTS Writing বইটি।
Speaking: স্পীকিং-এর জন্য Khan’s Cue-Card 1 এবং 2 বেশ কার্যকরী।
স্কোরএক থেকে নয়-এর স্কেলে আইইএলটিএসের স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। এগুলোর গড় করে সম্পূর্ণ একটি স্কোরও দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় কৃতকার্য বা অকৃতকার্য হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত পেতে হয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যান্ড স্কোরও আলাদাভাবে ভালো করতে হয়। সম্পূর্ণ স্কোর যত ভালোই হোক না কেন, একটি বিভাগে স্কোর কমে গেলে ভর্তির সুযোগ না-ও পেতে পারেন। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন। আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকবে দুই (২) বছর....

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.