কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার মূল্য কেন দিবে শিক্ষার্থীরা?

ঘটনা ১ঃ তিন মিনিট দেরী করায় সোহরাওয়ার্দি কলেজের হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি কবি নজরুল কলেজের ছেলে শামিরকে।


ঘটনা ২ঃ চট্টগ্রামের এক কেন্দ্রের সামনে ছোট ভাইকে হলে দিয়ে আসার সময় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেলো বড় ভাইয়ের।


১ঃ প্রশ্নফাসের ব্যপকতায় এবার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো পরিক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে মূল গেট বন্ধ করে দেয়া হবে। সে অনুযায়ী সকল কেন্দ্রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। সেজন্য পরিক্ষা শুরুর আধাঘন্টা আগেই সকল কেন্দ্রে পরিক্ষার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।
শামির তিন মিনিট দেরী করায় তাকে আর ঢুকতে দেয়া হয়নি। অনেক চেষ্টা অনুনয় করেও তার দেয়া হল জীবনের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা।


মন্ত্রণালয় প্রশ্নফাস বন্ধ না করে বন্ধ করেছে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা দেয়া। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা ব্যবহার করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। একজন পরিক্ষার্থী তার জন্য বরাদ্ধ তিন ঘন্টা সময় যেকোনোভাবে ব্যবহার করতে পারে। এর মধ্যে ১ ঘন্টা পরিক্ষা দিয়েও যদি সে পাশ করতে পারে, তাহলে সমস্যা কোথায়?
কিন্তু আমাদের শাসকরা এক ধাপ এগিয়ে, তারা বলবে আমরা প্রশ্ন ফাস করে দিবো, কিন্তু তুমি ব্যবহার করবে কেন?


মাননীয় সরকার মহোদয়, আপনারা চোরকে বলবেন চুরি করো, আর গৃহস্থকে বলবেন ঠেকাও, এসব ভুজংবাড়ং বন্ধ করেন। এই ছেলে যে একটা বছর হারালো তার জীবনের তার মূল্য দিবেন কিভাবে এখন? যদি সম্ভব হয় তার জন্য স্পেশাল পরিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করুন।


হয়তো বলবেন, সে নিয়ম মানেনি, আধাঘন্টা আগে না এসে সে ফাস হওয়া প্রশ্ন পড়েছে। তাহলে আমি বলবো, সুযোগ পেলে সেটা সে নিবেই, আর যদি তা হয়, তাহলে যারা প্রশ্ন ফাস করে, তাদের ধরে ফাসি দিচ্ছেন না কেন? গত ৫ বছর ধরে একই চিত্র চলে আসছে, তবুও আপনারা তাদের ধরতে পারলেন না, আপনাদের যোগ্যতা নিয়েইতো আমার মনে সন্দেহ জাগছে। কিছু করতে না পারলে পদত্যাগ করুন।


২ঃ একজন শিক্ষার্থী যখন পরিক্ষা দেয়, তখন সে পরিক্ষা কেন্দ্র ও এর আশেপাশের নিরাপত্তা পাবার অধিকার রাখে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত ছিলো পরিক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের মূল সড়কের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা। এরকম ঘঠনা আমরা আর দেখতে চাইনা। আশা করি কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে সুদৃষ্টি দিবে
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.