এর আগের পর্বে, আমরা IELTS সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেছিলাম। আজকে কথা হবে TOEFL এবং SAT নিয়ে।
TOEFL:
Test of English as a Foreign Language, সংক্ষেপে যা TOEFL নামে পরিচিত। যা ইংরেজি ভাষাভাষী নয়, এমন শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাই করার পরীক্ষা। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট: http://www.ets.org/toefl/
তাদের এই নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭০ ইউএস ডলার বা ১৩ হাজার ২৬০ টাকা। ঢাকায় একাধিক টেস্ট সেন্টার রয়েছে, যেগুলোর ঠিকানাও পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে। এখানেও চারটি দক্ষতার (Reading, Writing, Listening এবং Speaking) উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১৩০টিরও বেশি দেশে প্রায় সাড়ে আট হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান টোয়েফল স্কোরকে স্বীকৃতি দেয়। এখানে দু’ধরনের টেস্ট নেয় হয়, এটি হলো Internet based test এবং অন্যটি Paper Based Test। Internet based test বছরে ৩০ থেকে ৪০ বার নেয়া হয় আর paper based test বছরে ৬ বার নেয় হয়। Internet based test নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি কেন্দ্র রয়েছে। যেসব জায়গায় ইন্টারনেট বেজড টেস্ট নেবার সুবিধা নেই সেসব জায়গাতেই কেবল পেপার বেজড টেস্ট নেয়া হয়।
Reading, Listening, Speaking ও Writing এই চারটি সেকশনের প্রতিটিতে ৩০ নম্বর করে মোট ১২০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
Reading:
এই সেকশনের জন্য পরীক্ষার্থীর হাতে ৬০ থেকে ১০০ মিনিট পর্যন্ত সময় থাকে। এর মধ্যে ৪-৬টি Passage পড়ে শেষ করতে হয় এবং প্রতিটিতে ১২ থেকে ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
Listening:
এই সেশনের জন্য বরাদ্দ থাকে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট, যার মধ্যে ৬-৯টি Passage শুনতে হয় এবং প্রতিটি passage শোনার পর সে সম্পর্কিত ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। Speaking সেকশনটি সে তুলনায় একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে মোট ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষার্থীকে কিছু নির্দেশাবলি শোনানো হয়, যার ওপর ভিত্তি করে তাঁকে নিজের মতামত প্রকাশ করতে বলা হয়। ২০ মিনিটের এই সেকশনে পরীক্ষার্থী কতটুকু গুছিয়ে, সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন, তা যাচাই করা হয়।
Writing:
এইখানে দুটি বিষয়ের ওপর লিখতে দেওয়া হয় এবং এর জন্য সময় থাকে ৫০ মিনিট। পরীক্ষার্থী ইংরেজিতে কতটুকু দক্ষ, তার ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নিতে কত সময় প্রয়োজন, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস হতে পারে। টোয়েফল পরীক্ষা সারা বছরই দেওয়া যায় এবং একজন পরীক্ষার্থী চাইলে যতবার ইচ্ছা পরীক্ষা দিতে পারেন। উল্লেখ্য, একবার পরীক্ষা দেওয়ার ১২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় না এবং IELTS এর মতই এত মেয়াদও দুই বছর পর্যন্ত থাকে। IELTS এবং TOEFL কে বলা যায় সমধর্মী পরীক্ষা। এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি পরীক্ষাতে অংশ নিলেই হয়। তবুও প্রস্তুতি নেওয়ার আগে নিজের কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যেয়ে Language Requirement অপশনটি ভালভাবে পড়ে নিতে ভুলবেন না। সেখানে তারা টোয়েফল স্কোর গ্রহণ করে কিনা এবং করলে সর্বনিম্ন কত স্কোর হতে হবে, তা দেওয়া থাকবে।
যেমন: যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL ও আইএলটিএস স্কোর দুটোই গ্রহণ করে থাকে এবং টোয়েফলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১১০ স্কোর থাকতে হয়। এ ছাড়া প্রতিটি সেকশনের জন্য তাঁদের ন্যূনতম স্কোর হলো Reading সেকশনে ২৪, Listening সেকশনে ২২, Writing সেকশনে ২৪, Speaking সেকশনে ২৫। আবার কখনো একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম স্কোর ভিন্ন হয়, তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এসব ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।
SAT:
একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কতটা প্রস্তুত, তার পরীক্ষা হয় স্যাট টেস্টের মাধ্যমে। SAT এর পূর্ণরূপ হলো Scholastic Aptitude Test।
স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে ইংরেজী পড়া, লেখা এবং গণিতে অর্জিত দক্ষতার পরীক্ষা নেয়া হয় এই ধাপে।
ওয়েবসাইট: http://sat.collegeboard.org/home
স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাঁদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, তাদের জন্যেও স্যাট (SAT) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই বলে এমন নয় যে, যেসব বিদ্যালয়ে স্যাট স্কোর চাইবে না, তাদের জন্য স্যাট এক্সাম দিবো না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর বেশ কাজে দেয়।
SAT যেভাবে হয়:
৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের SAT এক্সামকে Critical Reading, Math এবং Writing- মোট তিনটি অংশে ভাগ করা হয়। আর প্রতিটি অংশে ৮০০ করে মোট ২৪০০ মার্কের পরীক্ষা হয়।
Critical reading– এ সাধারণত শব্দজ্ঞান, ছোট-বড় বিভিন্ন Passage পড়ে অনুধাবন করার ও তার ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
Math- অংশের প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানজনিত প্রশ্ন।
Writing- অংশে থাকে বাক্য ও প্যারাগ্রাফ উন্নতিকরণ সম্পর্কিত প্রশ্ন, যেখানে একাধিক সম্ভাব্য উত্তরের মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বের করতে হয়। এ ছাড়া এ অংশে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর একটি Essay লিখতে দেওয়া হবে, যার জন্য বরাদ্দকৃত সময় মাত্র ২৫ মিনিট। তাই সময়ের দিকে খেয়াল রেখেই লিখা শুরু করতে হবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে SAT পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। নতুন পরীক্ষা কাঠামোয় SAT পরীক্ষার মোট নাম্বার ১৬০০। প্রতিটি সেকশনে ৮০০ নম্বর। তবে এর সাথে অপশনাল হিসেবে থাকছে Essay Writing। এর জন্য আলাদাভাবে ৬-২৪ স্কেলে নাম্বার দেয়া হবে। নতুন পদ্ধতির SAT পরীক্ষায় ২ টা প্রধান সেকশন থাকছে। যেমন – Mathematics section এবং Evidence based reading- writing section। পূর্বে reading এবং writing আলাদা সেকশন হিসেবে থাকলেও নতুন SAT কাঠামোয় দুটি মিলে মূল একটি সেকশন করা হয়েছে।
Evidence Based Reading Section:
এই সেকশনে ৬৫ মিনিট সময়ে ৫২ টি প্রশ্নের করতে হবে। মোট ৪টি প্যাসেজ থাকবে। প্রতি ১০টি প্রশ্নের জন্য একটি করে প্যাসেজ। প্রশ্নগুলো সাধারণত এমসিকিউ ধরনের। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৫টি করে অপশন থাকবে।
প্যাসেজ ১:
Reading section এ প্রথম প্যাসেজ সাধারণত প্রসিদ্ধ ইংরেজি উপন্যাস এবং গল্প থেকে নেয়া হবে। এই প্যাসেজটি পরে ১-১০ পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
প্যাসেজ ২:
দ্বিতীয় প্যাসেজও কোন উপন্যাস কিংবা প্রকাশিত ম্যাগাজিনের গল্প থেকে নেয়া হবে। তবে এর সাথে একটি বার চার্ট থাকতে পারে। এই প্যাসেজটি পরে ১১-২১ পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
প্যাসেজ ৩:
তৃতীয় প্যাসেজের সাথে থাকবে একটি ডাটা টেবিল। যা থেকে ২২-৩২ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
প্যাসেজ ৪:
চতুর্থ প্যাসেজটি তুলনামূলক একটু বড় হয়। যা থেকে ৩২-৪১ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
প্যাসেজ ৫:
পঞ্চম প্যাসেজে আবার দুটি অংশ থাকতে পারে। এই প্যাসেজটি থেকে ৪২-৫২ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
Writing and Language Test Section:
SAT পরীক্ষার অন্যান্য সেকশনের তুলনায় writing সেকশনে সব থেকে বেশি পরিবর্তন এসেছে। এই সেকশনে ৩৫ মিনিট সময়ে ৪৪ টি প্রশ্নের করতে হবে। এই সেকশনটিও প্যাসেজ ভিত্তিক এবং উত্তরগুলো এমসিকিউ ধরনের।
এর মধ্যে প্যাসেজে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আন্ডার লাইন করা অংশ থেকে তথ্য নিয়ে সঠিক উত্তরগুলো করতে হবে। রাইটিং সেকশনে Standard English Conventions অংশে থাকছে ২০ টি প্রশ্ন। যার মধ্যে থাকবে Covering sentence structure, conventions of usage এবং conventions of punctuation এমন ধরনের ছোট ইংলিশ গ্রামারের প্রয়োগ সংক্রান্ত। এছাড়াও Expression of Ideas অংশ থেকে আসবে ২৪ টি প্রশ্ন।
Mathematics Section:
এই অংশে অধিকাংশ প্রশ্নই MCQ ধরণের। প্রতিটি ভুল উত্তরের পূর্বে নাম্বার কাটা হলেও নতুন সংস্করণে তা থাকছে না। এর মধ্যে প্রথম ভাগে আসা ২০টি প্রশ্নে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। তবে পরের সাইন্টেফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
No Calculator Use Section:
২০টি প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময়। এই সেকশনে ৩টা সাব-সেকশন। এই ম্যাথ সেকশনটিতে ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষেধ।
দুইটি প্যাটার্নে প্রশ্ন হয়ে থাকে –
প্যাটার্ন ১:
MCQ ধরণের প্রশ্ন আসবে। আপনার কাজ হবে সঠিক উত্তরটি বাছাই করা। ১৫ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
প্যাটার্ন ২:
এখানে আপনাকে ৫ টি গ্রিড-ইন টাইপ প্রশ্ন দেওয়া হবে (অংক করে খালি ঘরে উত্তর লিখতে হবে)।
Calculator Use Section:
৩৮টি প্রশ্নের জন্য ৫৫ মিনিট সময়। এই সেকশনে ৪টা সাব-সেকশন আছে। এই সেকশনে সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। এখানেও দুই প্যাটার্নে প্রশ্ন হবে-
প্যাটার্ন ১:
সাব সেকশনটির প্রথম ভাবে ৩০ টি ম্যাথ থাকবে। যেগুলো সমাধান করে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে। এর মধ্যে অনেক ম্যাথের জন্য আলাদা ভাবে ডাটা দেয়া থাকবে। যেখান থেকে তথ্য নিয়ে ম্যাথ সমাধান করতে হবে।
প্যাটার্ন ২:
এই প্যাটার্নে ৮টি ম্যাথ থাকবে। যেগুলো গ্রিড-ইন টাইপ প্রশ্ন (অংক করে খালি ঘরে উত্তর লিখতে হবে) হয়।
SAT পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর ৬০০ এবং সর্বোচ্চ স্কোর ২৪০০। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের জন্য কোনো ন্যূনতম স্কোরকে আবশ্যক হিসেবে উল্লেখ করা হয় না, তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্কোর ২০০০ থেকে ২৪০০-এর মধ্যে হয়ে থাকে।
SAT এর জন্য প্রস্তুতি:
ভালো এবং পরিকল্পিতভাবে পড়া ছাড়া স্যাটে ভাল ফলাফল করার উপায় নেই। তাই শুরুতেই আপনি নিজের টার্গেট স্কোরটি ঠিক করে নিন এবং সে অনুসারে পড়া শুরু করে দিন। সাধারণত একাদশ শ্রেণি থেকে স্যাটের প্রিপারেশন নেওয়াটা সুবিধাজনক। নিজের সুবিধামত একটা সময় থেকে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করুন, কেননা স্যাট এক্সাম বছরের যেকোনো সময়েই দেওয়া যায়।
অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন’স, ব্যারন’স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান, গ্রুবার’স, ম্যাকগ্র-হিল ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিয়ে স্যাট পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়।
এসব বইয়ের সবই ঢাকার নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। তা ছাড়া বারিধারায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারের লাইব্রেরিতেও রয়েছে স্যাটের প্রস্তুতিমূলক বইয়ের চমৎকার সংগ্রহ, যা লাইব্রেরিতে বসে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
এইসব সহায়ক বই ছাড়াও নিয়মিত ইংরেজি বই ও পত্রিকা পড়ার অভ্যাসও আপনাদের গড়ে তোলা উচিত৷
অনুশীলনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বোর্ড থেকে প্রকাশিত অফিশিয়াল স্যাট বইয়ের প্র্যাকটিস টেস্ট অনুসরণ করা যেতে পারে। Critical Reading এ দুটি অংশ থাকে, একটি হলো সেনটেন্স কমপ্লিশন এবং কমপ্রিহেনশন। সেনটেন্স কমপ্লিশন অনেকটা শূন্যস্থানের মতো হয়। প্রশ্নপত্রে দেওয়া অপশন থেকে উত্তর দিতে হয়। এখানে ভালো করতে হলে পছন্দের টপিক অনুসারে প্রচুর বই পড়তে হবে। নতুন শব্দ পেলে তা নোটবুকে সব ধরনের অর্থসহ (Synonym, antonym) টুকে রাখতে হবে। পরবর্তী সময়ে অনুশীলন করতে হবে। কমপ্রিহেনশনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে সমস্যা হয় সবারই। তাই প্রথমে প্রশ্ন ভালভাবে পড়ে প্যাসেজের মধ্যে উত্তরগুলো পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে নিয়ে লিখা শুরু করতে হবে।রচনার মাধ্যমে Writing পার্টটা শুরু হয়। রচনা সাধারণত যুক্তিনির্ভর এসে থাকে৷ যেমন: ‘’ইন্টারনেট আশির্বাদ নাকি অভিশাপ’৷ এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই যুক্তি দেখাতে হবে। এবং এই রচনা অংশের নম্বর প্রায় দেড়শের কাছাকাছি হয়। তাই উদাহরণ দিয়ে দুই পৃষ্ঠার মধ্যে সবরকম অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে রচনা লিখে শেষ করতে হবে৷ নাহলে বেশ ভাল নম্বর হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
এরপর আছে ভুল বাক্যকে শুদ্ধ করা ও ভুল চিহ্নিত করা৷ আর প্রথম দিকের অংকগুলো সহজই হয়, সেগুলো খুব দ্রুতই করা যাবে।
SAT একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পরীক্ষা। তাই ভালভাবে প্রিপারেশন নিয়েই এই পরীক্ষায় বসা উচিত। SAT পরীক্ষার মোট সময় ৩ ঘন্টা। আর অপশনাল হিসেবে থাকা Essay সেকশনে অংশ নিলে মোট সময়ের সাথে আরও ৫০ মিনিট যোগ হবে।
স্যাট দেওয়ার জন্য প্রথমেই SAT এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www. collegeboard. org) গিয়ে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার কমপক্ষে এক মাস আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা জরুরি। বাংলাদেশে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খরচ পড়বে ৯২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবির ডিজিটাল কপি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো ধরনের শনাক্তকারী পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
রেজিস্ট্রেশন করার পর ওয়েবসাইট থেকে যে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে তাতে পরীক্ষার দিন, সময় ও কেন্দ্র উল্লেখ করা থাকবে। পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আরও কী কী নিয়ে যেতে হবে তাও বলা থাকবে প্রবেশপত্রে।
সূত্র: