কোন সাবজেক্ট টা তোমার সাথে খাপ খায়, কোনটাতে তুমি খুঁজে পাবে তোমার স্বপ্নের ঠিকানা, ভবিষ্যৎ এর পথে একটা সিদ্ধান্তও যাতে ভুল না হয় তার জন্য থাকছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ যেসব বিষয়ে স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রি দেওয়া হয় সেসব বিষয়ের ডিটেইলস রিভিউ.. আজ প্রথম দিনে থাকছে #রসায়ন এর উপর রিভিউ। পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ের উপর রিভিউ দেওয়া হবে।
.
সাবজেক্ট রিভিউ :
রসায়ন বিভাগ (বিজ্ঞান অনুষদ)
.
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের যাত্রা শুরু ১৯৬৮ সাল থেকে। এই রসায়ন বিভাগে আছে নিজেস্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাব, আছে রিসার্চ ল্যাব। রিসার্চের জন্য মূল রসায়ন বিভাগের পাশে নির্মিত হয়েছে উন্নত ইকুইপমেন্ট সমৃদ্ধ একাধিক ল্যাব বিশিষ্ট ৪ তলা ভবন। এখানে আছে নিজস্ব সমৃদ্ধ সেমিনার লাইব্রেরী, ফ্রি ওয়াইফাই জোন, প্রতি ক্লাসরুমে প্রজেক্টর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব এক্সাম হল, কম্পিউটার ল্যাব সহ অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা।
সীমাবদ্ধতা মূলত অর্থ সংকট, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত ক্যামিকেল কিনতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সে হিসেবে ফান্ডিং পাওয়া দুঃষ্কর।
আর্থিক সীমাবদ্ধতার মাঝেও ৪৯ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় এই বিভাগে রয়েছে দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ রসায়ন ল্যাব।
.
চবির রসায়ন বিভাগ এযাবৎকালে পেয়েছে একাধিক স্বনামধন্য রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদদের।
ড. এস জেড হায়দার ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী এখানে তার অধ্যাপনা জীবন শুরু করে গত ২ বছর আগে অবসরে যান।
বর্তমানে এখানে আছেন ১৫ জন অধ্যাপক, ৩ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৩ জন সহযোগী অধ্যাপক।
.
যেসব বিষয় না জানলেই নয়...
.
#পড়াশোনার_ধরন :
রসায়ন বিভাগের পড়াশোনা বাধ্যতামূলকভাবে সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়াম। থিউরীটিক্যাল পড়াশোনার পাশাপাশি ল্যাব ক্লাস আছে। প্রতি বছরই ৩-৪ টি ল্যাব কোর্স আছে। যার জন্য অনেক সময় সকাল থেকে পড়ন্ত বিকেল অবধি উপস্থিত থেকে ক্লাস করা লাগবে।
ল্যাবে টানা ২-৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হবে।
পড়াশোনার অধিভুক্ত উল্লেখযোগ্য টপিকগুলো হল
ভৌত রসায়ন, জৈব রসায়ন, অজৈব রসায়ন, নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি, এপ্লাইড বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, ফার্মেসিটিক্যাল কেমিস্ট্রি বা মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, বায়ো ক্যামিকেল, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, স্পেক্ট্রোসকপি, ফুড এন্ড এনভাইরনমেন্টাল কেমিস্ট্রি, এটমোস্ফেরিক সায়েন্স।
রসায়ন বিভাগের বড় সুবিধা হল এখান থেকে বি.এসসি (অনার্স) ডিগ্রী কমপ্লিট করে পরবর্তীতে চাইলে কেমিস্ট্রির যেকোন শাখায় উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়া যাবে, যেমন: নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, বায়ো কেমিস্ট্রি, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি।
.
#সেশন_জট :
চবির রসায়ন বিভাগে বর্তমান সর্বোচ্চ জট ৬ মাস।
অর্থাৎ ৪ বছরের বি.এসসি (অনার্স) ও ১ বছরের এম.এসসি করতে অতিরিক্ত সময় বড়জোর ৬ মাস লাগবে কিংবা এর কম।
জুনিয়র ব্যাচগুলোতে জট লক্ষনীয় নয়।
সেশন জটকে কমিয়ে আনার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
.
#রেজাল্ট :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাকরীর বাজারে এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে সিলেবাস মডারেশনের মাধ্যমে এবং শিক্ষকদের একান্ত আন্তরিকতায় স্টুডেন্টদের সিজিপিএর উন্নয়ন লক্ষ করা যাচ্ছে বিগত বছর ধরে।
এখন এখানে সিজিপিএ ৩.৫ এর উপর অনেকেরই উঠছে। এমনকি ৩.৯ সিজিপিএও দেখা যাচ্ছে (out of 4.00 scale)
.
#জব_সেক্টর :
রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করে কি করবেন?
হুম, আপনার এম্বিশন হতে পারে চতুর্মূখী-
(১) রসায়ন রিলেটেড মাল্টিনেশনাল কম্পানি/ প্রাইভেট জব :
ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি, টয়লেট্রিজ, কালার পেইন্ট, সিমেন্ট, স্টিল মিল, সার কারখানা (KAFCO, CUFL), ফার্মেসী, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রি।
যেমন: বার্জার পেইন্ট, ইউনিলিভার, স্কোয়ার, প্রান, পেপসিকো, বেক্সিমকো ফার্মা ইত্যাদি ইত্যাদি।
(২) দেশের বাহিরে :
গবেষনাধর্মী কাজে স্কলারশীপ নিয়ে চলে যেতে পারেন দেশের বাহিরে। রসায়ন সাবজেক্টে উন্নত বিশ্বে স্কলারশীপের প্রচুর সুযোগ আছে।
(৩) রসায়ন রিলেটেড সরকারী জব :
বিসিএস না দিয়েই যেতে পারেন বিভিন্ন রসায়ন নির্ভর সরকারী প্রতিষ্ঠানে। যেমন : BCSIR, TICI, বাংলাদেশ পরমানু গবেষনা কেন্দ্র, BSTI, জনস্বাস্থ্য, ইস্টার্ণ রিফাইনারী ইত্যাদি।
(৪) বিসিএস :
বিসিএস দিয়ে যেতে পারেন যেকোন সেক্টরে। এছাড়া বিসিএসে শিক্ষা বিভাগ সহ বেশ কিছু রসায়ন নির্ভর সেক্টর আছে শুধুমাত্র রসায়নবিদদের জন্য।
(৫) জেনারেল জব :
ব্যাংক জব, কিংবা অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
(৬) শিক্ষকতা :
বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার, অধ্যাপক হিসেবে থাকছে কাজের সুযোগ।
এছাড়া সরকারী-বেসরকারী , এমপিওভুক্ত স্কুল - কলেজে রসায়ন বিষয়ের শিক্ষকতা বা অধ্যাপনা করার সুযোগ তো আছেই।
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েব লিংক : www.chemcu.ac.b d
.
স্বাগতম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন পরিবারে।
.
.
লিখেছেন :
হাসনাত আজিমুল চৌধুরী
রসায়ন বিভাগ (চবি), ২০১২-১৩ সেশন।
.
সাবজেক্ট রিভিউ :
রসায়ন বিভাগ (বিজ্ঞান অনুষদ)
.
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের যাত্রা শুরু ১৯৬৮ সাল থেকে। এই রসায়ন বিভাগে আছে নিজেস্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাব, আছে রিসার্চ ল্যাব। রিসার্চের জন্য মূল রসায়ন বিভাগের পাশে নির্মিত হয়েছে উন্নত ইকুইপমেন্ট সমৃদ্ধ একাধিক ল্যাব বিশিষ্ট ৪ তলা ভবন। এখানে আছে নিজস্ব সমৃদ্ধ সেমিনার লাইব্রেরী, ফ্রি ওয়াইফাই জোন, প্রতি ক্লাসরুমে প্রজেক্টর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব এক্সাম হল, কম্পিউটার ল্যাব সহ অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা।
সীমাবদ্ধতা মূলত অর্থ সংকট, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত ক্যামিকেল কিনতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সে হিসেবে ফান্ডিং পাওয়া দুঃষ্কর।
আর্থিক সীমাবদ্ধতার মাঝেও ৪৯ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় এই বিভাগে রয়েছে দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ রসায়ন ল্যাব।
.
চবির রসায়ন বিভাগ এযাবৎকালে পেয়েছে একাধিক স্বনামধন্য রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদদের।
ড. এস জেড হায়দার ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী এখানে তার অধ্যাপনা জীবন শুরু করে গত ২ বছর আগে অবসরে যান।
বর্তমানে এখানে আছেন ১৫ জন অধ্যাপক, ৩ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৩ জন সহযোগী অধ্যাপক।
.
যেসব বিষয় না জানলেই নয়...
.
#পড়াশোনার_ধরন :
রসায়ন বিভাগের পড়াশোনা বাধ্যতামূলকভাবে
ল্যাবে টানা ২-৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হবে।
পড়াশোনার অধিভুক্ত উল্লেখযোগ্য টপিকগুলো হল
ভৌত রসায়ন, জৈব রসায়ন, অজৈব রসায়ন, নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি, এপ্লাইড বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, ফার্মেসিটিক্যাল
রসায়ন বিভাগের বড় সুবিধা হল এখান থেকে বি.এসসি (অনার্স) ডিগ্রী কমপ্লিট করে পরবর্তীতে চাইলে কেমিস্ট্রির যেকোন শাখায় উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়া যাবে, যেমন: নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, বায়ো কেমিস্ট্রি, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি।
.
#সেশন_জট :
চবির রসায়ন বিভাগে বর্তমান সর্বোচ্চ জট ৬ মাস।
অর্থাৎ ৪ বছরের বি.এসসি (অনার্স) ও ১ বছরের এম.এসসি করতে অতিরিক্ত সময় বড়জোর ৬ মাস লাগবে কিংবা এর কম।
জুনিয়র ব্যাচগুলোতে জট লক্ষনীয় নয়।
সেশন জটকে কমিয়ে আনার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
.
#রেজাল্ট :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাকরীর বাজারে এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে সিলেবাস মডারেশনের মাধ্যমে এবং শিক্ষকদের একান্ত আন্তরিকতায় স্টুডেন্টদের সিজিপিএর উন্নয়ন লক্ষ করা যাচ্ছে বিগত বছর ধরে।
এখন এখানে সিজিপিএ ৩.৫ এর উপর অনেকেরই উঠছে। এমনকি ৩.৯ সিজিপিএও দেখা যাচ্ছে (out of 4.00 scale)
.
#জব_সেক্টর :
রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করে কি করবেন?
হুম, আপনার এম্বিশন হতে পারে চতুর্মূখী-
(১) রসায়ন রিলেটেড মাল্টিনেশনাল কম্পানি/
ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি, টয়লেট্রিজ, কালার পেইন্ট, সিমেন্ট, স্টিল মিল, সার কারখানা (KAFCO, CUFL), ফার্মেসী, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রি।
যেমন: বার্জার পেইন্ট, ইউনিলিভার, স্কোয়ার, প্রান, পেপসিকো, বেক্সিমকো ফার্মা ইত্যাদি ইত্যাদি।
(২) দেশের বাহিরে :
গবেষনাধর্মী কাজে স্কলারশীপ নিয়ে চলে যেতে পারেন দেশের বাহিরে। রসায়ন সাবজেক্টে উন্নত বিশ্বে স্কলারশীপের প্রচুর সুযোগ আছে।
(৩) রসায়ন রিলেটেড সরকারী জব :
বিসিএস না দিয়েই যেতে পারেন বিভিন্ন রসায়ন নির্ভর সরকারী প্রতিষ্ঠানে। যেমন : BCSIR, TICI, বাংলাদেশ পরমানু গবেষনা কেন্দ্র, BSTI, জনস্বাস্থ্য, ইস্টার্ণ রিফাইনারী ইত্যাদি।
(৪) বিসিএস :
বিসিএস দিয়ে যেতে পারেন যেকোন সেক্টরে। এছাড়া বিসিএসে শিক্ষা বিভাগ সহ বেশ কিছু রসায়ন নির্ভর সেক্টর আছে শুধুমাত্র রসায়নবিদদের জন্য।
(৫) জেনারেল জব :
ব্যাংক জব, কিংবা অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
(৬) শিক্ষকতা :
বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার, অধ্যাপক হিসেবে থাকছে কাজের সুযোগ।
এছাড়া সরকারী-বেসরকারী
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েব লিংক : www.chemcu.ac.b
.
স্বাগতম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন পরিবারে।
.
.
লিখেছেন :
হাসনাত আজিমুল চৌধুরী
রসায়ন বিভাগ (চবি), ২০১২-১৩ সেশন।