সাবজেক্ট রিভিউ :ফিশারিজ(HSTU)
প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় দিনাজপুরে অবস্থিত আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। তোমরা অনেক অনেক সৌভাগ্যবান যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট চালু করার আগে তার প্রয়োজনীয়তা এবং কর্মক্ষেত্র চিন্তা করেই করা হয়।তাই বলি এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি সাবজেক্ট এর ডিমান্ড অবশ্যই আছে। সবার লক্ষ্য এবং চাওয়া সমান না। তবে সিদ্ধান্ত নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাম্পাসের নয়টা ফ্যাকাল্টির মধ্যে ফিসারিজ একটি এবং অন্যতম।
★আমাদের আছে ২৮ জন টিচার ও প্রায় ৪২০জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গঠিত ফিসারিজ পরিবার।
কথা না বাড়িয়ে চল জেনে নেই এই ক্যাম্পাসে ফিসারিজ ফ্যাকাল্টির অধিনে ডিপার্টমেন্টগুলো -
1. Department of Aquaculture ( দেশের বাইরে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট পড়ানো হয়,গুগলসার্চ দিলেই পাবে।ফিসারিজের মাদার সাবজেক্ট)
2. Department of Fisheries Management ( জলজ সম্পদ এবং এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়ানো হয়)
3. Department of Fisheries Biology and Genetics( মাছের বায়োলজি এবং জেনেটিক্স সম্পর্কীয় বিষয়ে পড়ানো হয়, জেনেটিক্সের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়ানো হয়, দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য এর সুযোগ অনেক)
4. Department of Fisheries Technology ( উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ানো হয়,এই ডিপার্টমেন্টের কাজ এবং গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি। বিভিন্ন আমদানি -রপ্তানি প্রতিষ্ঠান,গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ)
★প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের রয়েছে আলাদা গবেষণাগার ও উন্নত LAB!যেখানে প্রায় সারাদিন -ই গবেষণা চলে।
★শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানোর ক্ষেত্রে
শিক্ষক -শিক্ষিকারা খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।এজন্য প্রতিটা ব্যবহারিক কোর্সের পর একটা করে ট্যুরের আয়োজন করা হয়।
এবার চল যেনে নিই পড়া শেষ করার পর তোমার জন্য কেমন সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ৩ ভাগ জল আর একভাগ স্থল, ফিসারিজ সেই বিশাল জলরাশি আর এতে বসবাসরত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের নিয়ে পড়াশোনা করায়।
সুতরাং এতো বিশাল যার বিস্তার তার কাজের পরিধিও বিশাল-
১।ভাল রেজাল্ট করলে হতে পারো সাবজেক্ট রিলেটেড যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (বর্তমানে আমাদের প্রায় ৬-৮ জন টিচার এখানকার -ই প্রাক্তন ছাত্র)!!
২। বিসিএস এ প্রতিবার ফিসারিজ এর জন্য থাকে অনেকগুলো পোস্ট।ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার উভয় ক্ষেত্রেই আছে ভাল সুযোগ।
৩। মাৎস্য অধিদপ্তর,বাংলাদেশ মাৎস্য গবেষণা প্রতিস্ঠান,বাংলাদেশ মাৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন সহ অনান্য সরকারি গবেষনা প্রতিস্ঠানে সায়েন্টিফিক অফিসার সহ অন্যান্য পোস্টে চাকুরী করার সুযোগ।
৪।বিভিন্ন বেসরকারি গবেষনা প্রতিস্ঠানে রয়েছে কাজের সুযোগ।
৫।বর্তমানে দেশে মাৎস্য গবেষনা ও উন্নয়নের জন্য অনেক বিদেশি এনজিও তাদের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে,সেগুলোতে গবেষক, স্পেশালিষ্ট ও টেকনিক্যাল অফিসারসহ বিভিন্ন পোস্টে কাজ করার সুযোগ।যেমন আমি ছাত্র অবস্থায় রিসার্চ ইন্টার্ন হিসাবে ওয়ার্ল্ড ফিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছি। এখন তোমাদের অনেক বড় ভাই সেখানে চাকুরী করে। এরকম আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।
৬।বিভিন্ন এগ্রো ফার্মে স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ।
৭। দেশের রপ্তানীতে বিশাল ভুমিকা রাখে চিংড়ি । চিংড়ি হ্যাচারি,ফার্ম এবং প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ।
৮। বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানীতে এগ্রো-ভেট (ফিসারিজ) সেক্টরেও কাজ করতে পারেন।
৯।ব্যাংক সহ অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানী তো আছেই।
১০।ফিসারিজ পড়ে কেউ বেকার থাকা অনেক কঠিন,নিজে নিজেই গড়ে তুলতে পারে ফার্ম আর আয় করতে পারে লাখ লাখ টাকা।
১১। রিসার্চ লাইনে যারা ভাল করতে চায় তাদের জন্য সামনে অনেক সুযোগ কারন সাগরের ৯৫% এখনও অনাবিষ্কৃত! জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হুমকির সম্মুখীন আমাদের দেশ, নদী ও সাগরের কূল ঘেঁষা এই দেশের উপকূলীয় সম্পদ রক্ষার জন্য সরকারী এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করতে পারেন।বাংলাদেশ যে এত সাগর জয় করলো এর সঠিক ব্যাবহার করতে হবে যে তোমার আমার মত ফিসারিজ গ্রেজুয়েটদের!
১২। খুশির কথা হচ্ছে যে,বাইরে বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ পাওয়ার অনেক সুযোগ ফিসারিজ গ্রেজুয়েটদের।ইউরোপ ,আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা জাপান সহ অনেক দেশের নামিদামি ভার্সিটিগুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ। এইবছর ফিসারিজ ১ম ব্যাচের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম (স্যার) জাপানের মনকাবুসু স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে গবেষণারত আছেন।উল্লেখ্য,এবছর-ই #আইরিন_পারভিন আপু প্রধানমন্ত্রীর গোল্ড মেডেল পেয়ে একই স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে গবেষণারত আছেন।
বেতনঃ সরকারি স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকুরিতে আর বেসরকারীতে ২৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে লাখের উপরে আছে। সুতরাং আমরা কোন অংশে কম নয়।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পাবলিক ভার্সিটির গ্রাজুয়েট মানে বিশাল ব্যাপার। তোমার লক্ষ্য ঠিক করে সিদ্ধান্ত নাও ।জীবন তোমার ,একে তোমার মত করেই সাজাও। শুভ কামনা রইলো।ক্যাম্পাসে পথচলা শুভ হোক।
প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় দিনাজপুরে অবস্থিত আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। তোমরা অনেক অনেক সৌভাগ্যবান যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট চালু করার আগে তার প্রয়োজনীয়তা এবং কর্মক্ষেত্র চিন্তা করেই করা হয়।তাই বলি এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি সাবজেক্ট এর ডিমান্ড অবশ্যই আছে। সবার লক্ষ্য এবং চাওয়া সমান না। তবে সিদ্ধান্ত নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাম্পাসের নয়টা ফ্যাকাল্টির মধ্যে ফিসারিজ একটি এবং অন্যতম।
★আমাদের আছে ২৮ জন টিচার ও প্রায় ৪২০জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গঠিত ফিসারিজ পরিবার।
কথা না বাড়িয়ে চল জেনে নেই এই ক্যাম্পাসে ফিসারিজ ফ্যাকাল্টির অধিনে ডিপার্টমেন্টগুলো -
1. Department of Aquaculture ( দেশের বাইরে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট পড়ানো হয়,গুগলসার্চ দিলেই পাবে।ফিসারিজের মাদার সাবজেক্ট)
2. Department of Fisheries Management ( জলজ সম্পদ এবং এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়ানো হয়)
3. Department of Fisheries Biology and Genetics( মাছের বায়োলজি এবং জেনেটিক্স সম্পর্কীয় বিষয়ে পড়ানো হয়, জেনেটিক্সের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়ানো হয়, দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য এর সুযোগ অনেক)
4. Department of Fisheries Technology ( উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ানো হয়,এই ডিপার্টমেন্টের কাজ এবং গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি। বিভিন্ন আমদানি -রপ্তানি প্রতিষ্ঠান,গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ)
★প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের রয়েছে আলাদা গবেষণাগার ও উন্নত LAB!যেখানে প্রায় সারাদিন -ই গবেষণা চলে।
★শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানোর ক্ষেত্রে
শিক্ষক -শিক্ষিকারা খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।এজন্য প্রতিটা ব্যবহারিক কোর্সের পর একটা করে ট্যুরের আয়োজন করা হয়।
এবার চল যেনে নিই পড়া শেষ করার পর তোমার জন্য কেমন সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ৩ ভাগ জল আর একভাগ স্থল, ফিসারিজ সেই বিশাল জলরাশি আর এতে বসবাসরত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের নিয়ে পড়াশোনা করায়।
সুতরাং এতো বিশাল যার বিস্তার তার কাজের পরিধিও বিশাল-
১।ভাল রেজাল্ট করলে হতে পারো সাবজেক্ট রিলেটেড যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (বর্তমানে আমাদের প্রায় ৬-৮ জন টিচার এখানকার -ই প্রাক্তন ছাত্র)!!
২। বিসিএস এ প্রতিবার ফিসারিজ এর জন্য থাকে অনেকগুলো পোস্ট।ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার উভয় ক্ষেত্রেই আছে ভাল সুযোগ।
৩। মাৎস্য অধিদপ্তর,বাংলাদেশ মাৎস্য গবেষণা প্রতিস্ঠান,বাংলাদেশ মাৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন সহ অনান্য সরকারি গবেষনা প্রতিস্ঠানে সায়েন্টিফিক অফিসার সহ অন্যান্য পোস্টে চাকুরী করার সুযোগ।
৪।বিভিন্ন বেসরকারি গবেষনা প্রতিস্ঠানে রয়েছে কাজের সুযোগ।
৫।বর্তমানে দেশে মাৎস্য গবেষনা ও উন্নয়নের জন্য অনেক বিদেশি এনজিও তাদের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে,সেগুলোতে গবেষক, স্পেশালিষ্ট ও টেকনিক্যাল অফিসারসহ বিভিন্ন পোস্টে কাজ করার সুযোগ।যেমন আমি ছাত্র অবস্থায় রিসার্চ ইন্টার্ন হিসাবে ওয়ার্ল্ড ফিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছি। এখন তোমাদের অনেক বড় ভাই সেখানে চাকুরী করে। এরকম আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।
৬।বিভিন্ন এগ্রো ফার্মে স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ।
৭। দেশের রপ্তানীতে বিশাল ভুমিকা রাখে চিংড়ি । চিংড়ি হ্যাচারি,ফার্ম এবং প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ।
৮। বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানীতে এগ্রো-ভেট (ফিসারিজ) সেক্টরেও কাজ করতে পারেন।
৯।ব্যাংক সহ অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানী তো আছেই।
১০।ফিসারিজ পড়ে কেউ বেকার থাকা অনেক কঠিন,নিজে নিজেই গড়ে তুলতে পারে ফার্ম আর আয় করতে পারে লাখ লাখ টাকা।
১১। রিসার্চ লাইনে যারা ভাল করতে চায় তাদের জন্য সামনে অনেক সুযোগ কারন সাগরের ৯৫% এখনও অনাবিষ্কৃত! জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হুমকির সম্মুখীন আমাদের দেশ, নদী ও সাগরের কূল ঘেঁষা এই দেশের উপকূলীয় সম্পদ রক্ষার জন্য সরকারী এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করতে পারেন।বাংলাদেশ যে এত সাগর জয় করলো এর সঠিক ব্যাবহার করতে হবে যে তোমার আমার মত ফিসারিজ গ্রেজুয়েটদের!
১২। খুশির কথা হচ্ছে যে,বাইরে বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ পাওয়ার অনেক সুযোগ ফিসারিজ গ্রেজুয়েটদের।ইউরোপ ,আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা জাপান সহ অনেক দেশের নামিদামি ভার্সিটিগুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ। এইবছর ফিসারিজ ১ম ব্যাচের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম (স্যার) জাপানের মনকাবুসু স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে গবেষণারত আছেন।উল্লেখ্য,এবছর-ই #আইরিন_পারভিন আপু প্রধানমন্ত্রীর গোল্ড মেডেল পেয়ে একই স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে গবেষণারত আছেন।
বেতনঃ সরকারি স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকুরিতে আর বেসরকারীতে ২৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে লাখের উপরে আছে। সুতরাং আমরা কোন অংশে কম নয়।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পাবলিক ভার্সিটির গ্রাজুয়েট মানে বিশাল ব্যাপার। তোমার লক্ষ্য ঠিক করে সিদ্ধান্ত নাও ।জীবন তোমার ,একে তোমার মত করেই সাজাও। শুভ কামনা রইলো।ক্যাম্পাসে পথচলা শুভ হোক।