বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে::
“এশিয়ার মধ্যে আমার পরে দ্বিতীয় কোন বিজ্ঞানী যদি নোবেল পুরুস্কার পান,তবে তিনি হবেন প্রফেসর জামাল নজরূল ইসলাম”
কথা গুলি বলছিলেন নোবেলজয়ী পাকিস্তানি পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালাম 1986 সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীতে।
অজানা কিছু কথা:
# সোয়া লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে আটাশ,শ টাকা বেতনের চাকরি নিয়েছিলেন পরে তিন হাজার টাকা করেছিল।
#উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাবকে না,উপাচার্য হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার প্রস্তাব দেওয়া সত্বেও তিনি সাড়া দেননি এবং বলেছিলেন, This is not my cup of tea.
#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম.এ হারুন লিখেছেন:
“জামালের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৮৪ সালে,যখন তিনি কেমব্রিজ থেকে চট্টগ্রামে চলে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।একদিন তিনি টেলিফোনে লন্ডন থেকে আমাকে জানালেন যে,তিনি বাংলাদেশে চলে আসতে চান। এটা নিশ্চয় খুবই ভাল সিদ্ধান্ত, তবে তিনি যদি তাঁর দরখাস্তটি আমাকে পাঠিয়ে দেন তবে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠাতে পারব।তারপর তিনি যা বলেছিলেন তা শুনতে আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি ঢাকায় যাবেন না, তিনি চট্টগ্রামে যাবেন(সংক্ষেপিত,কালি ও কলম,বৈশাখ১৪২০,পৃ-৪৩)
#তাঁর বাবা কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে মিলিয়ে তাঁর নাম জামাল নজরুল ইসলাম রেখেছিলেন।কলকাতায় তাদের পরিবারের সাথে কাজী নজরুলরে পরিবারের ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল।
#তিনিই আমাদের দেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিজ্ঞান বিষয়ক সর্বাধিক সংখ্যক এম.ফিল ও পি এইচ ডি ডিগ্রী প্রদানসহ অর্ধশতাধিকের ও বেশি আর্ন্তজাতিক মানের কনফারেন্সের আয়োজন করেন এবং উচুমানের চারটি গ্রন্থ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশ করতে সক্ষম হন।এগুলো কেমব্রিজ,প্রিন্সটন,হার্ভার্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত।তাঁর গ্রন্থ গুলো নিম্নে দেওয়া হল:
1.The ultimate fate of the universe,Cambridge university press1983,translated in French Japanese,Italian ,Portuguese and serbo-crout.
2.Classical general relativity, Cambridge university press1984.
3.Rotating fields in general relativity,Cambridge university press1985.
4.An introduction to Mathematical cosmology, Cambridge university press.
#জামাল নজরুল ইসলাম ও তাঁর কিছু বন্ধু:
1.জোসেফসন-নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ।
২.স্টিফেং হকিং ।
৩.জে .ডি নারলিকার ,বিশ্বসৃষ্টিতত্ত্ববিদ,ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞানী(দুজনেই কেমব্রিজ থেকে ডি এসসি লাভ করেন একই সাথে)
৪.অধ্যাপক আব্দুস সালাম,নোবেলজয়ী পাকিস্তানি পদার্থবিজ্ঞানী ).
৫.অমর্ত্য সেন
# অমর্ত্য সেন ও জামাল নজরুল ইসলাম:
অমর্ত্য সেনের আগ্রহ ছিল গাণিতিক অথনীতির উপর আর জামাল নজরুলের আগ্রহ ছিল গাণিতিক পর্দাথবিজ্ঞানের উপর।১৯৯০ সালে যখন অমর্ত্য সেন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন জামাল নজরুলের বাসায় ছিলেন। অমর্ত্য সেন যেদিন নোবেল পুরুস্কার পাবেন ঠিক আগের দিন রাত্রে কেমব্রিজে তাদের দুজনের কথা হচ্ছিল রাতে দুজনে একসাথে বসে ডিনার ও করেছিলেন।
#চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জামাল নজরুল ইসলাম:
১৯৮১ সালে তিনি এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে যোগ দেন।১৯৮১ সালে তাঁর আমন্ত্রণে নোবেল জয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এটি ছিলো কোন নোবেল জয়ী ব্যক্তির প্রথম আগমন ।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেবা করে গিয়েছিলেন।১৯৮৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্রালয়ে তাঁরই প্রতিষ্টিত গবেষণাগারে ৫০ টির ও বেশি আন্ততর্জাতিক মানের সেমিনার হয়।
#শিক্ষাজীবন:
কলকাতার একটি মডেল স্কুল হয়ে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে(নবম শ্রেণী পর্যন্ত) হয়ে পাকিস্তানের ব্রিটিশ আওতাধীন লরেন্স স্কুলে ভতি হয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি সিনিয়র কেমব্রিজ ও হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যা বতমানে ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার সমতূল্য।
ভিন্নতা: সেই কলেজে হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজে অ্যাডভান্স গনিত নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন একমাত্র তিনিই।
পরে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশুনার পাঠচুকিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি সম্মান অর্জন করেন।পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।১৯৫৯ সালে রোজ বেল রচনা প্রতিযোগিতায় Unified field theories (একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্)এর উপর প্রবন্ধ লিখে তিনি কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের রোজ বেল ম্যাথমেথিক্যাল পুরুস্কান লাভ করেন।১৯৬০ সালে তিনি ট্রাইপাস পার্ট থ্রি স্কলারশিপ সহ ট্রিনিটি কলেজের সিনিয়র স্কলার মনোনীত হন একই বছরে তিনি আবার রির্সাচ স্কলার নিবাচিত হন।১৯৬৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রয়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানে পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে ডি এস সি(ডক্টর অব সায়েন্স) খেতাবে ভূষিত হন।
#গবেষণাক্ষেত্র:
*আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব।
* বিশ্বসৃষ্টি তত্ত্ব(cosmology)
#গবেষণা ও কর্মজীবন:
১৯৬৩ হতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা করেন।
১৯৬৫-৬৬ এক বছরের জন্য লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো নিযুক্ত হন।
১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত মোট চার বছর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউট এর স্টাফ মেম্বার ছিলেন। সেখানেই পরিচয় হয় স্টিফেং হকিং এর মত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর সাথে।
১৯৭১-৭২ তিনি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজির পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের ভিজিটিং অ্যাসোসিয়েট ছিলেন।
১৯৭৩-৭৪ সাল পর্যন্ত লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের প্রভাষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন।
১৯৭৫-৭৮ সাল পর্যন্ত কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সায়েন্স রিচার্স ফেলো ছিলেন।
১৯৭৮-৮৪ লন্ডনের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পরে রিডার(বতমানে সেহযোগী অধ্যাপকের সমমানের)
পুরুস্কার ও সম্মাননা:
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী কর্তৃক স্বর্ণ পদক লাভ করেন।
২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পদকে ভূষিত করেন(প্রথম এই পদক দেয়া হয়)
#বৈবাহিক ও পারিবারিক জীবন:
১৯৬০ সালে তিনি কলকাতার মেয়ে সুরাইয়া ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।অধ্যাপক ইসলামের দুই মেয়েরই জন্ম আমেরিকায়। জন্মের সময় তিনি আমেরিকার প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স স্টাডিতে কমরত ছিলেন।বড় মেয়ে সাদাফের জন্ম ১৯৬৮ সালে আর ছোট মেয়ে নার্গিসের জন্ম ১৯৭৩ সালে।বড় মেয়ে বাবার কমস্থল কেমব্রিজে পড়াশুনা করেছেন আর ছোট মেয়ে লন্ডনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে লেখাপড়া করছেন।
মূলকথা, আমার ধারণা উনি যদি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কেমব্রিজে সেবা দিয়ে যেতেন নোবেল পুরুস্কার পেয়েও যেতেন।স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে আসাটা এ দেশের জন্য বিরাট আত্নত্যাগ।তাঁর এ কাহিনী বাঙালি জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।দেশে শুধু তিনি একাই ফিরে আসেননি তাঁর পরিচিত সকলকে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন।তিনি আমেরিকায় থাকাকালে মুহাম্মদ জাফর ইকবালকেও দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন।তিনি শুধু বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেননি ধম,অর্থনীতি,দর্শন,সুফিবাদ ইত্যাদির উপর গবেষণা ও গ্রন্থ রচনা করে গেছেন।
এইরকম বলা যায়,,,,,,,তিনি হলেন এ গরিব দেশের উচু মানের বিজ্ঞানী………….
বলে রাখা ভাল,,এটা ছিল আমার ব্যর্থ প্রচেষ্টা যেখানে উনারে নিয়ে বই লিখে শেষ করা যাবে না। অত্যধিক গুরুত্বপুর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে এই লেখাটা সাজালাম.
মুহাম্মদ হামেদুর রহমান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here - https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )
“এশিয়ার মধ্যে আমার পরে দ্বিতীয় কোন বিজ্ঞানী যদি নোবেল পুরুস্কার পান,তবে তিনি হবেন প্রফেসর জামাল নজরূল ইসলাম”
কথা গুলি বলছিলেন নোবেলজয়ী পাকিস্তানি পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালাম 1986 সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীতে।
অজানা কিছু কথা:
# সোয়া লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে আটাশ,শ টাকা বেতনের চাকরি নিয়েছিলেন পরে তিন হাজার টাকা করেছিল।
#উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাবকে না,উপাচার্য হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার প্রস্তাব দেওয়া সত্বেও তিনি সাড়া দেননি এবং বলেছিলেন, This is not my cup of tea.
#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম.এ হারুন লিখেছেন:
“জামালের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৮৪ সালে,যখন তিনি কেমব্রিজ থেকে চট্টগ্রামে চলে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।একদিন তিনি টেলিফোনে লন্ডন থেকে আমাকে জানালেন যে,তিনি বাংলাদেশে চলে আসতে চান। এটা নিশ্চয় খুবই ভাল সিদ্ধান্ত, তবে তিনি যদি তাঁর দরখাস্তটি আমাকে পাঠিয়ে দেন তবে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠাতে পারব।তারপর তিনি যা বলেছিলেন তা শুনতে আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি ঢাকায় যাবেন না, তিনি চট্টগ্রামে যাবেন(সংক্ষেপিত,কালি ও কলম,বৈশাখ১৪২০,পৃ-৪৩)
#তাঁর বাবা কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে মিলিয়ে তাঁর নাম জামাল নজরুল ইসলাম রেখেছিলেন।কলকাতায় তাদের পরিবারের সাথে কাজী নজরুলরে পরিবারের ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল।
#তিনিই আমাদের দেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিজ্ঞান বিষয়ক সর্বাধিক সংখ্যক এম.ফিল ও পি এইচ ডি ডিগ্রী প্রদানসহ অর্ধশতাধিকের ও বেশি আর্ন্তজাতিক মানের কনফারেন্সের আয়োজন করেন এবং উচুমানের চারটি গ্রন্থ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশ করতে সক্ষম হন।এগুলো কেমব্রিজ,প্রিন্সটন,হার্ভার্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত।তাঁর গ্রন্থ গুলো নিম্নে দেওয়া হল:
1.The ultimate fate of the universe,Cambridge university press1983,translated in French Japanese,Italian ,Portuguese and serbo-crout.
2.Classical general relativity, Cambridge university press1984.
3.Rotating fields in general relativity,Cambridge university press1985.
4.An introduction to Mathematical cosmology, Cambridge university press.
#জামাল নজরুল ইসলাম ও তাঁর কিছু বন্ধু:
1.জোসেফসন-নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ।
২.স্টিফেং হকিং ।
৩.জে .ডি নারলিকার ,বিশ্বসৃষ্টিতত্ত্ববিদ,ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞানী(দুজনেই কেমব্রিজ থেকে ডি এসসি লাভ করেন একই সাথে)
৪.অধ্যাপক আব্দুস সালাম,নোবেলজয়ী পাকিস্তানি পদার্থবিজ্ঞানী ).
৫.অমর্ত্য সেন
# অমর্ত্য সেন ও জামাল নজরুল ইসলাম:
অমর্ত্য সেনের আগ্রহ ছিল গাণিতিক অথনীতির উপর আর জামাল নজরুলের আগ্রহ ছিল গাণিতিক পর্দাথবিজ্ঞানের উপর।১৯৯০ সালে যখন অমর্ত্য সেন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন জামাল নজরুলের বাসায় ছিলেন। অমর্ত্য সেন যেদিন নোবেল পুরুস্কার পাবেন ঠিক আগের দিন রাত্রে কেমব্রিজে তাদের দুজনের কথা হচ্ছিল রাতে দুজনে একসাথে বসে ডিনার ও করেছিলেন।
#চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জামাল নজরুল ইসলাম:
১৯৮১ সালে তিনি এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে যোগ দেন।১৯৮১ সালে তাঁর আমন্ত্রণে নোবেল জয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এটি ছিলো কোন নোবেল জয়ী ব্যক্তির প্রথম আগমন ।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেবা করে গিয়েছিলেন।১৯৮৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্রালয়ে তাঁরই প্রতিষ্টিত গবেষণাগারে ৫০ টির ও বেশি আন্ততর্জাতিক মানের সেমিনার হয়।
#শিক্ষাজীবন:
কলকাতার একটি মডেল স্কুল হয়ে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে(নবম শ্রেণী পর্যন্ত) হয়ে পাকিস্তানের ব্রিটিশ আওতাধীন লরেন্স স্কুলে ভতি হয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি সিনিয়র কেমব্রিজ ও হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যা বতমানে ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার সমতূল্য।
ভিন্নতা: সেই কলেজে হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজে অ্যাডভান্স গনিত নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন একমাত্র তিনিই।
পরে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশুনার পাঠচুকিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি সম্মান অর্জন করেন।পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।১৯৫৯ সালে রোজ বেল রচনা প্রতিযোগিতায় Unified field theories (একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্)এর উপর প্রবন্ধ লিখে তিনি কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের রোজ বেল ম্যাথমেথিক্যাল পুরুস্কান লাভ করেন।১৯৬০ সালে তিনি ট্রাইপাস পার্ট থ্রি স্কলারশিপ সহ ট্রিনিটি কলেজের সিনিয়র স্কলার মনোনীত হন একই বছরে তিনি আবার রির্সাচ স্কলার নিবাচিত হন।১৯৬৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রয়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানে পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে ডি এস সি(ডক্টর অব সায়েন্স) খেতাবে ভূষিত হন।
#গবেষণাক্ষেত্র:
*আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব।
* বিশ্বসৃষ্টি তত্ত্ব(cosmology)
#গবেষণা ও কর্মজীবন:
১৯৬৩ হতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা করেন।
১৯৬৫-৬৬ এক বছরের জন্য লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো নিযুক্ত হন।
১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত মোট চার বছর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউট এর স্টাফ মেম্বার ছিলেন। সেখানেই পরিচয় হয় স্টিফেং হকিং এর মত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর সাথে।
১৯৭১-৭২ তিনি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজির পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের ভিজিটিং অ্যাসোসিয়েট ছিলেন।
১৯৭৩-৭৪ সাল পর্যন্ত লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের প্রভাষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন।
১৯৭৫-৭৮ সাল পর্যন্ত কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সায়েন্স রিচার্স ফেলো ছিলেন।
১৯৭৮-৮৪ লন্ডনের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পরে রিডার(বতমানে সেহযোগী অধ্যাপকের সমমানের)
পুরুস্কার ও সম্মাননা:
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী কর্তৃক স্বর্ণ পদক লাভ করেন।
২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পদকে ভূষিত করেন(প্রথম এই পদক দেয়া হয়)
#বৈবাহিক ও পারিবারিক জীবন:
১৯৬০ সালে তিনি কলকাতার মেয়ে সুরাইয়া ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।অধ্যাপক ইসলামের দুই মেয়েরই জন্ম আমেরিকায়। জন্মের সময় তিনি আমেরিকার প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স স্টাডিতে কমরত ছিলেন।বড় মেয়ে সাদাফের জন্ম ১৯৬৮ সালে আর ছোট মেয়ে নার্গিসের জন্ম ১৯৭৩ সালে।বড় মেয়ে বাবার কমস্থল কেমব্রিজে পড়াশুনা করেছেন আর ছোট মেয়ে লন্ডনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে লেখাপড়া করছেন।
মূলকথা, আমার ধারণা উনি যদি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কেমব্রিজে সেবা দিয়ে যেতেন নোবেল পুরুস্কার পেয়েও যেতেন।স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে আসাটা এ দেশের জন্য বিরাট আত্নত্যাগ।তাঁর এ কাহিনী বাঙালি জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।দেশে শুধু তিনি একাই ফিরে আসেননি তাঁর পরিচিত সকলকে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন।তিনি আমেরিকায় থাকাকালে মুহাম্মদ জাফর ইকবালকেও দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন।তিনি শুধু বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেননি ধম,অর্থনীতি,দর্শন,সুফিবাদ ইত্যাদির উপর গবেষণা ও গ্রন্থ রচনা করে গেছেন।
এইরকম বলা যায়,,,,,,,তিনি হলেন এ গরিব দেশের উচু মানের বিজ্ঞানী………….
বলে রাখা ভাল,,এটা ছিল আমার ব্যর্থ প্রচেষ্টা যেখানে উনারে নিয়ে বই লিখে শেষ করা যাবে না। অত্যধিক গুরুত্বপুর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে এই লেখাটা সাজালাম.
মুহাম্মদ হামেদুর রহমান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here - https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )