একটি খাঁটি প্রচেষ্টার গল্প Improvement and JU Economics



#Emerging_Energy :11
এটা কোন সফলতার গল্প কিনা জানিনা,তবে এটা একটি প্রচেষ্টার গল্প।।একটি খাঁটি প্রচেষ্টার গল্প।
সফলতার মাপকাঠি আমি জানিনা।দুদিন আগে যে চাওয়াটা বুয়েট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে,বুয়েটে চান্স হবার পর সেটা হার্ভার্ড,হার্ভার্ড থেকে হয়তো আরো বহু দূর-দূরান্তে গিয়ে ঠেকে।আদৌ ঠেকে কিনা সেটাও সন্দেহজনক।।
আচ্ছা,গল্প বলি।ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় বড় হয়েছি আমি,ঢাকার একটা আধা-সরকারি স্কুল থেকে পড়াশুনা করেছি।৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি,জে.এস.সিতে জিপিএ ৫,এস.এস.সি তে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হই।।জে.এস.সি তে পাশ করবার পরেই মনস্থির করি,বুয়েটে পড়বো,EEE নিয়ে।
এইচ.এস.সি দিলাম ২০১৫ তে।।এক্সাম দেবার পরই ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করার জন্য ভর্তি হলাম।।রেগুলার ক্লাস করতাম।উদ্ভাসের তুখোড় ব্যাচে ক্লাস করছিলাম।এমতাবস্থায় রেজাল্ট দিল।রেজাল্ট ৪.৬৭!!!নিজের প্রতি করূণা হচ্ছিল খুব।বুয়েট প্রিপারেশন অলমোস্ট শেষের দিকে তখন।বুয়েট তো দূরে থাক একটাও ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভারসিটিতে এক্সাম দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি।হতাশ হয়ে গেলাম।আর অন্যান্য স্বনামধন্যা বিশ্ববিদ্যালয়েরএ ইউনিট আমাকে কেমন যেন টানতো না।তাই আর কোথাও এক্সাম দিলাম না।ঢাবির ডি(রেজাল্ট:আন্তর্জাত­িক এ ফেইল),জাবির ই(৫৩৯ তম)তে প্রিপারেশন ছাড়া এক্সাম দিলাম শুধু।
মেন্টালি প্রিপেয়ার হলাম ইম্প্রুভমেন্ট এক্সাম দেবার জন্য।বলাই বাহুল্য,যেখানে আমার বাবা আগে মাসে প্রায় দশ হাজার টাকা টিউশনফিবাবদ খরচ করতেন,সে খরচের পরিমাণ শূন্যে এসে ঠেকলো।তিনটা টিউশনি করতাম তাই।।
ইম্প্রুভমেন্ট এক্সামটা দিলাম।এবার ইঞ্জিনিয়ারিং+আইবিএ কোচিং করার জন্য দুইটা কোচিং পাশাপাশি চালালাম।রেজাল্টদিল।এ­বার স্বল্পোন্নতি হয়ে রেজাল্ট ৪.৬৭ থেকে ৪.৮৩ এ আসলো।রেজাল্ট পেয়ে সেদিন খুব কাঁদলাম।আল্লাহ সত্যিই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া আমার কপালে রাখেননাই।তাই সাথে সাথে উদ্ভাস ছেড়ে আইবিএ কোচিং করতে লাগলাম,সাথে ঢাবির ডি ইউনিটের প্রিপারেশনও নিতে লাগলাম।
ঢাবির ফরম ফিলাম এর টাইম চলে আসলো।।ভিসি সাহেব ইম্প্রুভ্ড এক্সামিনদেরও এক্সাম দিতে দিলেননা।তাদের এই ব্যবস্থায় এতটাই ভেঙে পড়ি যে,আর কোন নতুন প্রিপারেশন নেয়ার ইচ্ছে জাগলো না।মনস্থির করলাম,যা আছে কপালে তাই হবে...।
জগ্ননাথে সি ইউনিটে এক্সাম দিলাম।রেজাল্ট দিল।মেধাক্রম:১৩।এরপর­ জাবিতে দিলাম বি,ই আর জি ইউনিটে।মেধাক্রম:২৬,১­১৯ আর ৬৫(যথাক্রমে)।
রেজাল্টের পর আমার মা কেঁদেছে আমাকে ধরে।বাকামুখী লোকজনের প্রশংসাও শুনেছি,শুনছি।তাই,কিছ­ুটা সহজ অনুমান করলাম,"সফলতা খানিকটা এসেছে"।
©নাঈম ফাওয়াদ,অর্থনীতি বিভাগ,জাবি। Write yours and send us on inbox
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.