SUSTIAN থেকে KUETIAN (একটি স্বপ্ন জয়ের কাহিনী)


#Emerging_energy :08
বছরটা হতাশা দিয়া শুরু হয়েছিল।কাউকে বলার জন্য একটা লোগো আমার দরকার ছিল।sust আমাকে তা দিয়ে ছিল। ৪ জানুয়ারি sust দিয়ে ফোন পেলাম। ৬ জানুয়ারি ভর্তি ছিল।sust এর জিওগ্রাফি & এনভায়রনমেন্ট এ ভর্তি হলাম। আমি ৫ তারিখ আবার hsc দেয়ার জন্য from fill up করে সিলেটের বাসে উঠলাম। এখান থেকেই শুরু ২০১৬ কে জয় করার ইচ্ছা।
sust এ ভর্তি হলাম তারপর ১০ দিন ক্লাশ করে ফিরে এলাম। শুরু করলাম 2nd time এর পড়া। 2nd time মেডিকেল কোচিং করলাম না। কারন আমার aim তো ডাক্তার হওয়ানা। আর বাংলাদেশে buet ruet cuet kuet এ 2nd time নাই তাই আমাকে কঠিন পথ বেছে নিতে হয়েছে।আবার hsc দেয়া যে কি কঠিন, তা বলে বুঝাতে পারবনা।
২০১৬ তে আমি সব থেকে বেশি মিথ্যা কথা বলছি।খুব কাছের মানুষ দের ও যে কিভাবে মিথ্যা বলতাম। সবাইকে বলতাম sust এ যাই, ক্লাস করি,ছুটিতে আসছি। আসলে hsc এর জন্য ঢাকা জেতাম,পরীক্ষা দিতাম।আমি আমার মিথ্যা চর্চা দেখে রীতিমত অবাক হতাম।
2nd timer প্রত্যেক টা দিন যে কিভাবে কাটাতাম তা আমি এখন ভাবলে ভয় পাই। gf যখন ভার্সিটি ক্লাস করে আমি তখন পুনরায় physics, matha, chemistry পড়ি। gf যখন বলে তুমি sust e ফিরে যাও নইলে break up। কিছু করার নাই সব দোষ আমার। তাই আমাকে প্যারা নিতেই হবে। উক্ত বালিকা কেন আমার জন্য কষ্ট করবে? যখন আর প্যারা নিতে পারতাম না তখন ফোন দিতাম MH Nayeem( sust eee) Arafat Rishad(sust math) ভাইদের তারাই আমাকে আবার সাহস দিত।inspired করতো।
জীবনের সবথেকে কঠিন দিন হল ১-২১ এপ্রিল, ২০১৬। এই ২১টা দিনে আমি বলে দিতে পারব যে প্রত্যেকটা ঘন্টা আমি হিসাব করেছি। সাত টা পরীক্ষা দিয়েছি। অবশেষে মুক্তি। তারপর আস্তে আস্তে hsc শেষ করলাম।
সবথেকে অবাক করা কান্ডটা হলো আমার জন্য আমার gf প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ১ সপ্তাহ আগে ভার্সিটি ছেড়ে চলে এলো ১ ইয়ার gap দিবে তাই।হায়রে aim। নিজে মরি ভাল কথা সাথে অন্য একজন কে নিয়া মরা লাগে?
পরীক্ষা দিয়া শুরু করলাম উদ্ভাস এ কোচিং। gf ও মেডিকেলের জন্য চেষ্টা শুরু করলো।
১৮ আগস্ট দিলো hsc er result,, বাবা ভুলে আমার গত বছরের রোল নিয়া অনলাইনে গত বছর এর রেজাল্ট দেখল।মানে আমি ৪.৮৩ পাইসি।সেটা আবার ফোনে আমাকে জানানো হলো।ভাই কিভাবে বুঝাব যে সেই মুহুর্তটা।আমার উপর আকাশ পরেনাই বরং ঠাডা পরছে। পরে দেখাগেল না আল্লাহর রহমতে ৫.০০ পাইসি।কিন্তু আবার বাংলা ইংলিশ মিস।
বুয়েটের স্বপ্ন অতিরিক্ত ১বছর বাচিয়ে রাখার পর ওখানেই মাটি দিলাম। তারপর বাশটা দিলো du. তারা এইবার দিয়া নাকি improvement দের নাকি পরিক্ষা দিতে দিবেনা।। মরার উপর খরার ঘা। হতাশায় আমি সবদিক অন্ধকার দেখি,, even ruet,cuet,kuet সব জাগায়ই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ শেষ।
আমি কষ্টে ১৫ দিন একটা চাদর নিয়া আর একটা বালিশ নিয়া ঢাকার বাসার মেঝেতে পরে ছিলাম।কি হইলো 2nd time করে। gf এত আশা করে আমার জন্য একটা ইয়ার gap দিলো।তাকে কি দিবো। মুখ কেমনে দেখাব? হতাশা আর হতাশা।আমি শেষ।
জানতাম ruet,cuet এ এইবার English miss করাদের এক্সাম দিতে দিবেনা।তবুও from কিনলাম। বুয়েট আগেই শেষ। বাকি রইল কুয়েট। কিন্তু kuet e নাকি একবার এক্সাম দিলে আর একবার দেয়া যায় না। এই তথ্যের ভিত্তিতে কুয়েট এর আশাও ছেড়ে দিলাম। হতাশায় এক গভীর অন্ধকারে হেরে যাওয়া এক জামিল কে দেখতে পাচ্ছিলাম।
অবশেষে ruet,cuet এ primary selection এ বাদ পড়লাম।বাকি রইল কুয়েট।কিন্তু কিছু admission group ( fb) তে দেখলাম যে যারা kuet cuet ruet buet এ একবার পরিক্ষা দেয় তারা নাকি পরে পরিক্ষা দিতে পারেনা।তাই kuetএর আশা ছেড়ে দিলাম কারন গতবার আমি কুয়েট এ এক্সাম দিসিলাম।
যাহারা এই সকল তথ্য দিয়ে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল তাদেরকে fuck... ইচ্ছা যা করে!!!
by the way অবশেষে kuet e আমাকে ৮ অক্টোবর জানালো যে আমি এক্সাম দিতে পারবো। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।
২৮ অক্টোবর কুয়েট পরিক্ষা। আমি অবশেষ এ মেঝে থেকে কাথা আর বালিশ ছেড়ে টেবিল এ বসলাম। বিশ দিন একটানা কোপ দিলাম।
ru এর এক্সাম দিলাম না সময় নষ্ট হবে তাই।চিন্তা করলাম কুয়েট এক্সাম ই হবে আমার জন্য শেষ পড়া। আর পারিনা প্যারা নিতে।
অবশেষ এ মহান আল্লাহ পাক আমার দিকে মুখ তুলে তাকালেন। আলহামদুলিল্লাহ kuet এ চান্স পেলাম। আমি জানি আমর থেকেও অই বালিকা বেশি খুশি হয়েছিল। আমি অবশেষ এ পারলাম।
আমার এই পথ চলায় শুধু আমিই লড়াই করি নাই।আমার সাথে জড়িত ছিল অন্য কারো জীবন।
আমি যখন প্রকৌশলী হতে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম তখন সে তার ভালবাসাকে রক্ষার্থে ঘরে বসে লড়াই করছিল। আমার থেকেও তার পথ চলাটা কঠিন ছিল। যারা মেয়ে তারা তার অবস্থাটা উপলব্ধি করতে পারবে।
আমার এই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নপুরন সম্পুর্ন Jeba Fariha Dolonকে উৎসর্গ করলাম।তার ভালোবাসার কাছে আমি হেরে গেলাম। ইনশাআল্লাহ তোমাকেই এই ইঞ্জিনিয়ার এর বউ বানাবো।
এছাড়া Mahamudur Rahaman Sajib(du cse) ভাই, নাইম ভাই, আরাফাত ভাইরা আমাকে সবথেকে বেশি সাহস দিয়েছেন এই কঠিন পথ কে জয় করতে। তাদের কেউ অশেষ ধন্যবাদ।
কথা গুলো যত সহজে টাইপ করা গেল কিন্তু পথ চলা টা তত সহজ ছিল না।এই পথের সহযাত্রী হিসাবে Hasibul Hasan, S.s. Swapnilকেউ অসংখ্য ধন্যবাদ।তোরা আমার দুঃখ গুলোর সবথেকে কাছের সাক্ষী ছিলি।
নিন্দুকদের ও ধন্যবাদ। তোমাদেরকে আজ মিডেল finger.
২০১৬ হতাশা দিয়ে শুরু স্বপ্ন জয় দিয়ে শেষ।
আমার জন্য দোয়া করবেন
আমি যেন এক জন দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে উঠতে পারি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
Nayeem Jamil(Energy Science and Engineering,KUET) .➽ [তোমার সফলতার বাস্তব গল্পের সন্ধানে আমরা। বিভিন্ন ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের সফলতার গল্পটি জানাতে পারো আমাদের।আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য যা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।তোমার লাইফের এমন গল্পটি বাংলায় টাইপ করে পেইজের ইমেইল / মেসেজ বাটনে ক্লিক করে সেন্ড করো।]
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.