এই সময়টা এম এস/পি এইচ ডি তে এপ্লাই করার উত্তম সময়। হাই রেঙ্কড বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এডমিশান এবং ফান্ডীং দেয়া হয়ে থাকে। এটা অবশ্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য। আশানুরূপ প্রোফাইল অনেকেরই থাকেনা কিন্তু তাই বলে গালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে থেকে কোন লাভ নাই। আপনার প্রোফাইল আপনার কাছে খারাপ আমার কাছে এক্সিলেন্ট। আমরা বেশীর ভাগ মানুষ এই দলের। আপনি যে স্কুল এ অ্যাপলই করছেন সেখানে বাকি আপ্লিকেন্ট দের প্রোফাইল আপনি জানেন না। জানার কোন সুযোগ নাই। তাহলে কিভাবে নিজের প্রোফাইল নিয়ে বেহুদা সময় নস্ট করছেন। ভালো প্রোফাইল বলতে আসলে কিছু নাই। সব মিডিয়ার সৃষ্টি। আমি ৩২৪ জি আর ই নিয়ে Lamar University তে ৫০% ফান্ডে যেতে দেখছি, আবার ৩১০ নিয়ে Texas Austin এ যাইতে দেখছি। জি আর ই শুধুমাত্র ১ টা ফ্যাক্টর। এটা বাদেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর আছে যেগুলো অনেক সৌভাগ্য নিয়ে আসতে পারে। তবে কোন একটা কারনে আমাদের ফোকাসটা শুঢুমাত্র জিপিএ এবং জি আর ঈ তে সীমাবদ্ধ থাকে। এস ও পি এবং রেফারেঞ্চ লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ২ টা ব্যাপারে অনেকরই অনীহা কাজ করে। খুব তাড়াহুড়া করে, কোনমতে আল্লাহর ওয়াস্তে এসব মেনেজ করে অ্যাপলই করে দেয়ার অভ্যাস অনেকের আছে। অথচ এগুলো আপনার জন্য খবুই গুরুত্বপূর্ণ।
আমারে এখন জিগায়েন না যে কোণটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ কোণটা কম। মনে মনে ভাবতেছেন, ধুর মিয়া মফিয, এসব বাদ দিয়ে বলেন ১-১০ এর স্কেলে কোনটার অবশ্তান কেমন। আমি যেটায় ভালো খালি সেইটা কোপাবো!!! ইউ কিডিং মে বয়! এমন কিছু আমি জানিনা। আমি বিশ্বাস করি যারা এদ্মিশান বা ফান্ডীং দেয় তারাও জানেনা। সবকিছু হয় অভারল আপনি কেমন। আপনি কেমন সেটা অন্য ক্যান্ডিডেট এর সাপেক্ষে। সেই ক্যান্ডিডেট শুধু আপনার ফ্রেন্ড না। পুরো পৃথিবীর আপনার দলের লোকজন।
চিন্তায় পরে গেলেন? একটা বিড়ি ধরান আর ভাবেন। কি করা জায়।
জি আর ই একটা চূড়ান্ত লেভেলের ফালতু পরীক্ষা (বেক্তিগত মত, আমারে আবার ধুয়ে দিয়েন না)। তবুও চেষ্টা করে যেটুকু করছেন ভালোই করছেন। এর থেকে অনেক ভালো করতে গেলে অন্তত ২ মাস সময় দিতে হবে। আপনার সময় নাই। লেট করলে দেরি হয়ে যাবে। ফল ধরতে হবে বস। নাইলে ইয়ার লস। আপনার উনার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি ফল ধরে ওনাকে নিয়ে ফল পারতে আসবেন।
খুব মনযোগ দিয়ে এস ও পি লিখেন। এস ও পির মধ্যে আজাইরা বেহুদা পেচাল লিখেন না। একটা এস ও পি ২-৩ মিনিটে পরে ফেলে প্রফেসর রা। এই গুরুত্বপূর্ণ লেখার পুরোটাই আপনাকে নিয়ে, আপনার কমিটমেন্ট নিয়ে, আপনার আগ্রহ নিয়ে, আপনি অতিতে কি করেছেন সেটা নিয়ে। এস ও পি নিয়ে কাল/পরশু ইতিহাস লিখব।
রিকমেন্ডেসন লেটারও এস ও পির মত গুরুত্তপুরনি। এটা আপনার কাজের স্বীকৃতি, প্রমানপত্র। অনলাইন এ এখন জমা দিতে হয়। মুলত সেখানে অনেকগুলা প্রশ্ন থাকে। যেমন – আপনার মেধা, চাপ নেয়ার ক্ষমতা, টিম মেম্বার হিসেবে কেমন, প্রব্লেম সল্ভিং অ্যাবিলিটি কেমন, ইত্যাদি। সবার শেষে থাকে একটা কমেন্ট বক্স যেখানে আপনার রেফারি আপনার জন্য সুন্দর সুন্দর কথা লিখে দিতে পারেন। এই কাজটা আপনার করা উচিত। আপনার ৪-৫ লাইনে কিছু গোছানো কথা লিখে আপনার স্যার কে ওয়ার্ড ফাইলে দিতে পারেন। সে কপি পেস্ট করতে পারে চাইলে। আর সে নিজে লিখতে চাইলে সেটাও ভালো যদি না সে আপনার ব্যাপারে ভালো জানে। আমার এক রেফারি লিখে দিছিল যে আমি ক্লাস ৫ এবং ৮ এ বৃত্তি পাইছিলাম। এস এস সি এবং এইস এস সি তে এ+ পাইছিলাম। আমি ভালো ছাত্র। লোল!! ওটা ছিল হার্ড কপি টাইপ। আগ্রহ নিয়ে বাসায় এসে খুলে দেখি এইসব এবং অনেক স্পেল্লিং মিস্টেক, গ্রামার মিসেটক। জমা দেই নাই। জমা দিলে ইতিহাস হইতে পারত। রেকমেন্ডসন আর এস ও পি নিয়ে কালকে বিস্তারিত লিখবো।
মনজুর-এ-এলাহি,
মাস্টার্স প্রোগ্রাম(সিভিল)
সাউথ ডাকোটা স্কুল অব মাইনস এন্ড টেকনোলোজি