Computer Science and Engineering. CSE - RUET

আজকে থাকছে ECE faculty এর সবচে বড় Department CSE নিয়ে। বর্তমানে এই department এ total seat 180 টি।

RUET শব্দটা শুনতেই মাথায় ঘুরে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যা শিক্ষানগরী রাজশাহীর এক অসাধারণ আকর্ষণ। আর এখনকার দুনিয়ায় অন্যতম আকর্ষণীয় ইঞ্জিনিয়ারিং অবশ্যই কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। 😉 বিশ্বজুড়ে এর বাজার দর যে পরিমাণে বাড়ছে, ডেভলপড দেশগুলিতো বটেই, ডেভলপিং আর আন্ডারডেভলপড দেশগুলিও এর পেছনেই ছুটছে।
😀 এমনকি আমাদের দেশও ছুটছে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” এর লক্ষ্যে। 😉 আজকের লেখা সিএসই/কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে। ^_^

১৯৬৪ সালে মাত্র ১২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বর্তমানের রুয়েট যাত্রা শুরু করেছিল রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে, যা কালের পরিক্রমায় ১৯৮৬ সালে বি.আই.টি. নাম পায় এবং ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে “রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” নাম পায়। 🙂 ১৯৬৪ সালে রুয়েট প্রতিষ্ঠিত হলেও সিএসই ডিপার্টমেন্টের তখনো অস্তিত্ব ছিল না। কেননা তখন কি আর কেউ জানতো Alan Turing এর ইমাজিনারি যন্ত্র কিংবা চার্স ব্যাবেজের গণনাকারী যন্ত্র এই খেল দেখাবে! 😉

বর্তমানে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী বহন করে চলা রুয়েটে সিএসই ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সালে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে। 🙂 পরবর্তীতে ২০১২ সালে এই সিট সংখ্যা বাড়িয়ে ১২০ এ আনা হয়। কালের পরিক্রমায় আজ রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট পরিপূর্ণ। ^_^
আর তাদের অভিভাবক হিসেবে সদা নিয়োজিত আছেন ৫ জন অধ্যাপক, ১৫ জন সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপক এবং ৮ জন প্রভাষক যাদের ১০ জনই পিএইচডি. হোল্ডার। এছাড়াও ৬ জন শিক্ষক উচ্চশিক্ষার কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ^_^
বর্তমানে রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের শুধু বিএসসি-ই (৪ বছর) নয়, এমএসসি (২ বছর) এবং পিএইচডি (৩ বছর) ডিগ্রিও অফার করে চলেছে
 ডিপার্টমেন্টের আছে নিজস্ব এক্সাম রুম, সেমিনার রুম, লাইব্রেরি, কনফারেন্স রুম এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ল্যাবরেটরী। 😀 বর্তমানে সিএসই ডিপার্টমেন্টে ল্যাবের সংখ্যা মোট ৬ টিঃ

১। ডিজিটাল এন্ড হার্ডওয়্যার ল্যাব
২। সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ল্যাব
৩। সফটওয়্যার ল্যাব #২

৪। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এন্ড রোবোটিক ল্যাব
৫। এনালাইটিকাল প্রোগ্রামিং ল্যাব
৬। অপারেটিং সিস্টেম ল্যাব

১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে আজ 20 বছরের মাথায় রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্টের সফলতার ঝুলি নেহাৎ হালকা নয়। 😉 ২০১৫ সালে সিএসই ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত হয় NCPC (ন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট) যা ডিপার্টমেন্টের নিজেদের ল্যাপটপে নেওয়া হয় যা এখনো নজিরবিহীন। ^_^
তাছাড়াও একই বছরের ২৬-২৭ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত হয় ICCIE 2015 (1st International Conference on Computer & Information Engineering) এছাড়াও, সিএসই ফেস্ট’১২, ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর আয়োজক ছিল এই ডিপার্টমেন্ট। 🙂

তাছাড়াও, ICECTE এর আয়োজক হিসেবেও সিএসই ডিপার্টমেন্ট ইসিই ফ্যাকাল্টির আন্ডারে অংশ নেয়। প্রতি বছর NHSPC বা ন্যাশনাল হাই-স্কুল প্রোগ্রামিং কন্টেস্টের আয়োজক হিসেবে রাজশাহী জোনে দায়িত্ব পালন করে চলছে এই ডিপার্টমেন্ট। 🙂এছাড়াও বুটক্যাম্প, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, লেকচার, রিসার্চ প্রেজেন্টেশন, স্টাডি ট্যুর, ফ্রেশার ওরিয়েন্টেশন, ইয়ারলি স্পোর্টস কম্পিটিশন লেগেই থাকে ডিপার্টমেন্টে। একমাত্র সিএসই ডিপার্টমেন্ট-ই আলাদাভাবেও র‌্যাগ ডে উদযাপন করে থাকে। 🙂

তাছাড়াও CISCO এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট শর্ট ট্রেইনিং কোর্স এবং লোকাল একাডেমিক প্রোগ্রামের আয়োজন করেই চলেছে। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের RAPL Lab বা রুয়েট এনালাইটিকাল প্রোগ্রামিং ল্যাব প্রতিবছর জন্ম দিচ্ছে নামকরা প্রোগ্রামারের। 😀 এই ল্যাব চালু থাকে দিনরাত ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে ৭ দিন এই ল্যাবে জুনিয়র প্রোগ্রামাররা খুব সহজেই সিনিয়র প্রোগ্রামারদের সান্নিধ্যে এসে মনের ইচ্ছানুসারে শিক্ষা নিতে পারে, যা নজিরবিহীন।
একমাত্র সিএসই ডিপার্টমেন্টেই সিনিয়র সিরিজ জুনিয়র সিরিজ এর জন্য কন্টেস্টের আয়োজন করে। ^_^ এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের রয়েছে নিজস্ব ক্লাব RITS (রুয়েট আইটি সোসাইটি) যারা সারা বছর জুড়েই বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও কন্টেস্টের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের মননশীলতার দুয়ার উন্মোচন করে থাকে। ^_^

প্রথম আলো কর্তৃক আয়োজিত ইএটিএল App ডেভলপমেন্ট কন্টেস্টের শুরু থেকেই রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর ফলাফল ঈর্ষাজনক, ২০১২ সিজনে “মা ও শিশু” ১০ম, “পিঠাপুলি” ৭ম এবং ২০১৩ সিজনে “Andro Farm” ১০ম স্থান অধিকার করে নেই। 😀 এইবারের ফোর্থ সিজনেও রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্ট থেকেই সর্বাধিক টীম অংশ নিয়েছে এই কন্টেস্ট। এছাড়াও হ্যাকাথন, NCPC, ICPC সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এবং App Development কন্টেস্টে সিএসই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। 😉

একাডেমিক দিক থেকেও ডিপার্টমেন্টের জুড়ি নেই। ডিপার্টমেন্টের সিংঘভাগ গ্রাজুয়েটেড শিক্ষার্থীই দেশ ও বিদেশের উচ্চপর্যায়ে সার্ভিস দিয়ে রুয়েট ও দেশের নাম উজ্জ্বল করছে। 😀 সিএসই ডিপার্টমেন্টরই ২০০৩ সিরিজের বড় ভাই Mohidul Islam বর্তমানে Apple Inc. এর সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত আছেন। ^_^

শুধু লেখাপড়া ও টেকনিক্যাল ব্যাপারই নয় স্পোর্টস ও ক্যালচারাল ব্যাপারেও ডিপার্টমেন্ট যথেষ্ট এগিয়ে। সিএসই ১৩ আর সিএসই ১৪ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন, ^_^এছাড়াও ক্রিকেট, টেবিল টেনিস ইত্যাদিতেও এখানকার শিক্ষার্থীরা সমান পারদর্শী। 😀 তাছাড়াও রুয়েটের বড় বড় কন্সার্টগুলোর সাক্ষী হয়ে চলেছে সিএসই বিল্ডিং। 😉

এতো লিখলাম, তবুও সিংহভাগ অর্জন এবং কথাবার্তা না বলা-ই থেকে গেল। 🙁এতো কথার মর্মার্থ যা-ই হোক না কেন, রুয়েটে সিএসই ডিপার্টমেন্ট মূলত সুপরিচিত এখানকার শিক্ষক-ছাত্র ও সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কের জন্য। 🙂ডিপার্টমেন্টে যে কোন শিক্ষার্থীর যে কোন সমস্যায় মাথার উপরে ছাদের মতো থাকে শিক্ষক এবং সিনিয়র ভাইয়া আপুরা। ^_^
এখানে যার সাহায্যের দরকার সে অবশ্যই সাহায্য পায়। আর এটাই রুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্টের সবথেকে বড় অর্জন এই দীর্ঘ ১৮ বছরের পথ চলায়। ^_^ ^_^
তাহলে আর দেরি কেন? 😉

Welcome To CSE Department of RUET… 😀
Be a Computer Engineer & Shake the World (You can Rock it either 😛 ) 😉
লিখেছেন-
আজমাইন ইয়াক্বীন সৃজন
সিএসই’১৪,রুয়েট।

অনেকেই রুয়েটের সি.এস.ই বিষয়ের রিভিউ চেয়েছিলে।
লিখে ফেললাম।

সি.এস.ই এমন একটা Subject যেখানে university র ভূমিকা
থাকে খুবই কম।নিজের creativity,patience আর Math এ ভাল
দক্ষতা টাই বড় এখানে।RUET এর CSE
Dept এর এখন 20 জন teacher আছেন যাদের 10 জনই পি.এইচ.ডি
করা টিচার
।আরও কয়েকজন টিচার আছেন যারা
পি.এইচ.ডি করতে এখন দেশের বাইরে।Sir দের কাছ থেকে
নেবার মত অনেক কিছুই আছে।Prime minister gold medal
পাওয়া টিচার আছে এখানে।
এখানে আছে কতগুলি সুবিশাল Computer
Lab আর in each computer Lab,তুমি
এ.সি তে বসে কাজ করতে পারবে।পাবে ওয়াইফাই
সুবিধা।পাবে Programming এ বস লেভেলের কিছু বড় ভাই
যারা তোমাকে যে কোন কাজে Help করবে।

আর কি চাও তুমি?ভাল করতে এর বেশি কিছু লাগেনা
যদি তোমার Passion টা থাকে।
তাই রুয়েটে পড়লে বেছে নিতে পারো সি.এস.ই কে।মনে
রেখো দেশের সব গুলি university র মাঝে সি.এস.ই তে সব
চেয়ে বেশি সিট রুয়েটে(180 টি)।

Welcome to One of the Best department of RUET.
Fazle Rabbi Zisa
CSE’16
RUET
RUET Review

RUET Architecture
Glass and Ceramic Engineering (GCE) – RUET
Building Engineering & Construction Management (BECM) – RUET
Department of Electrical and Electronic Engineering (EEE), RUET.
Computer Science and Engineering. CSE – RUET
Electronics & Telecommunication Engineering Department, ETE – RUET

Mechatronics Engineering ( MTE), RUET
Industrial and Production Engineering, IPE – RUET
Material Science and Engineering Department – RUET
Electrical & Computer Engineering (ECE) RUET
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজশাহী আসার উপায়

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.