প্রতি মহাবিশ্ব বা এন্টি ইউনিভার্স তত্ত্বের গ্রহণ যোগ্যতা :
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
" বিগ ব্যাং " নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই ভুল ধারণা জন্মেছে । "বিগ ব্যাং" কে মহান বিস্ফারণ ধরে নিলে ভুল ধারণা জন্মানো খুবি স্বাভাবিক এবং এজন্য " বিগ ব্যাং" শব্দটিই দায়ি। এটাকে আমরা মহা বিস্ফারণ না বলে যদি "মহা সম্প্রসারণ " নাম দিতে পারতাম, তাহলে আজ হয়তো ধারণা গুলো কিছুটা স্পষ্ট হতো। বিগ ব্যাং থিওরিতে সব থেকে বড় প্যাঁচ বাধিয়ে রেখেছে "সিংগুলারিটি" এর ধারণা। প্রায় ৯৯% বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিই ধরে নেয় বিগ ব্যাং এর পূর্বে একটা "আদি বিন্দু " আছিলো। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে ল্যাজে গোবরে মাখাই ফেলাইসে এই আদি বিন্দুর ধারণা বা সিংগুলারিটির ধারণা। কারণ হলো একটাই, এই আদি বিন্দু কোথা থেকে এসেছিলো তাহলে? এ রকম প্রশ্নের মুখে বিজ্ঞান মনস্করা প্রায়ই ধরাশায়ী হয়, আমি দেখেছি। মহা বিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে বিগব্যাং তত্ত্ব অধিক গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করে বসেছে। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এটা পরিক্ষাতে প্রমাণিত। আইনস্টাইন সাহেব তাঁহার আপেক্ষিকতত্ত্ব প্রদানের আগে ধারণা করতেন মহাবিশ্ব স্থির। অর্থাৎ সম্প্রসারণশীল নয়। কিন্তু পরবর্তীতে উনি নিজের সূত্রের দ্বারাই দেখালেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা সত্য এবং স্পেস -টাইম (বা স্থান এবং সময়) একই সাথেই সৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, যদি সেটাই সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিগ ব্যাং এর পূর্বে সময় বলে কিছুই ছিলোনা ? কোন স্পেস বা জায়গা যদি না থাকতো তাহলে সেই আদি বিন্দুটি কিভাবে অবস্থান করছিলো? এসব উত্তর সব থেকে সহজ উপায়ে দেয়া যায় কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে। শূণ্য থেকে ফ্ল্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থের উদ্ভব হতে পারে।আরেকটা মূল্যবান আলোচনার বিষয় হলো "শক্তি "। তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রানূযায়ী বদ্ধ সিস্টেমে মোট শক্তির পরিমাণ সমান থাকে। অর্থাৎ শক্তির ধ্বংস বা নতুন করে কোন শক্তির সৃষ্টি হয়না। তাহলে এর অর্থ দ্বারায় শক্তি অবিনশ্বর এবং শক্তি চিরকাল আছে। এখানেও একটু ল্যাজে গোবরে প্যাঁচ আছে। বিগব্যাং এর পূর্বে যেহেতু সময় ছিলোনা এবং কোন স্থান ছিলোনা ( আমি সিংগুলারিটি বা আদি বিন্দুর বিপক্ষে বলছি) তাহলে মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি কোন পয়েন্টে পুঞ্জিভূত আছিলো? উত্তর সহজ। শক্তির উৎপত্তি একেবারে শুন্য থেকে হওয়াটা অবশ্যই এবং অবশ্যই সম্ভব। কারণ আমাদের মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ শুন্য। সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্রের ঘূর্ণন বা স্পিনের দিক বিবেচনা করলে সেগুলো একে অন্যের সাথে কাটাকাটি হয়ে যায়। তাছাড়া মহাবিশ্বের সমস্ত আহিত কণিকার চার্জের যোগফলও শুন্য হয়ে যায়। শুন্য হয়ে যায় সমস্ত ভর এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। অর্থাৎ আমার ধারণাতে মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়েছিলো একেবারে শুন্য থেকেই। গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করলে 0 = +1 -1 = 0 এবং এটা হওয়াটা জরুরী যে আমাদের মহাবিশ্বটাও সৃষ্টি হয়েছিলো আমাদের মতোই কিন্তু বিপরীত একটা মহাবিশ্বের উৎপত্তির সাথে সাথে। অর্থাৎ আমাদের এই মহাবিশ্ব + এর প্রতি মহাবিশ্ব = ০
অর্থাৎ আমাদের এই মহাবিশ্বের সাথে আরেকটি বিপরীত মহাবিশ্ব জন্ম লাভ করেছে। ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন অলৌকিক ঘটনা না হয়ে থাকলে মহাবিশ্বের সৃষ্টিও কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। ফ্লাকচুয়েশনের ঘটনা সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক, ইহা অনবরত ঘটতেই আছে, ফ্লাকচুয়েশনের ঘটনা না হওয়াকে প্রকৃতি সর্বদা বাধা দেয় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিতও বটে। তাই সব কিছু থাকার পরিবর্তে কোন কিছু না থাকাটাই অস্বাভাবিক। তাই অলৌলিক সিংগুলারিটির অবসান ঘটলো এবং "এন্টিভার্স তত্ত্ব " গ্রহণ যোগ্যতা পেয়ে গেলো। 😂😂
-Eo Eo Arindam Ghosh
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
" বিগ ব্যাং " নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই ভুল ধারণা জন্মেছে । "বিগ ব্যাং" কে মহান বিস্ফারণ ধরে নিলে ভুল ধারণা জন্মানো খুবি স্বাভাবিক এবং এজন্য " বিগ ব্যাং" শব্দটিই দায়ি। এটাকে আমরা মহা বিস্ফারণ না বলে যদি "মহা সম্প্রসারণ " নাম দিতে পারতাম, তাহলে আজ হয়তো ধারণা গুলো কিছুটা স্পষ্ট হতো। বিগ ব্যাং থিওরিতে সব থেকে বড় প্যাঁচ বাধিয়ে রেখেছে "সিংগুলারিটি" এর ধারণা। প্রায় ৯৯% বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিই ধরে নেয় বিগ ব্যাং এর পূর্বে একটা "আদি বিন্দু " আছিলো। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে ল্যাজে গোবরে মাখাই ফেলাইসে এই আদি বিন্দুর ধারণা বা সিংগুলারিটির ধারণা। কারণ হলো একটাই, এই আদি বিন্দু কোথা থেকে এসেছিলো তাহলে? এ রকম প্রশ্নের মুখে বিজ্ঞান মনস্করা প্রায়ই ধরাশায়ী হয়, আমি দেখেছি। মহা বিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে বিগব্যাং তত্ত্ব অধিক গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করে বসেছে। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এটা পরিক্ষাতে প্রমাণিত। আইনস্টাইন সাহেব তাঁহার আপেক্ষিকতত্ত্ব প্রদানের আগে ধারণা করতেন মহাবিশ্ব স্থির। অর্থাৎ সম্প্রসারণশীল নয়। কিন্তু পরবর্তীতে উনি নিজের সূত্রের দ্বারাই দেখালেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা সত্য এবং স্পেস -টাইম (বা স্থান এবং সময়) একই সাথেই সৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, যদি সেটাই সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিগ ব্যাং এর পূর্বে সময় বলে কিছুই ছিলোনা ? কোন স্পেস বা জায়গা যদি না থাকতো তাহলে সেই আদি বিন্দুটি কিভাবে অবস্থান করছিলো? এসব উত্তর সব থেকে সহজ উপায়ে দেয়া যায় কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে। শূণ্য থেকে ফ্ল্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থের উদ্ভব হতে পারে।আরেকটা মূল্যবান আলোচনার বিষয় হলো "শক্তি "। তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রানূযায়ী বদ্ধ সিস্টেমে মোট শক্তির পরিমাণ সমান থাকে। অর্থাৎ শক্তির ধ্বংস বা নতুন করে কোন শক্তির সৃষ্টি হয়না। তাহলে এর অর্থ দ্বারায় শক্তি অবিনশ্বর এবং শক্তি চিরকাল আছে। এখানেও একটু ল্যাজে গোবরে প্যাঁচ আছে। বিগব্যাং এর পূর্বে যেহেতু সময় ছিলোনা এবং কোন স্থান ছিলোনা ( আমি সিংগুলারিটি বা আদি বিন্দুর বিপক্ষে বলছি) তাহলে মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি কোন পয়েন্টে পুঞ্জিভূত আছিলো? উত্তর সহজ। শক্তির উৎপত্তি একেবারে শুন্য থেকে হওয়াটা অবশ্যই এবং অবশ্যই সম্ভব। কারণ আমাদের মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ শুন্য। সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্রের ঘূর্ণন বা স্পিনের দিক বিবেচনা করলে সেগুলো একে অন্যের সাথে কাটাকাটি হয়ে যায়। তাছাড়া মহাবিশ্বের সমস্ত আহিত কণিকার চার্জের যোগফলও শুন্য হয়ে যায়। শুন্য হয়ে যায় সমস্ত ভর এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। অর্থাৎ আমার ধারণাতে মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়েছিলো একেবারে শুন্য থেকেই। গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করলে 0 = +1 -1 = 0 এবং এটা হওয়াটা জরুরী যে আমাদের মহাবিশ্বটাও সৃষ্টি হয়েছিলো আমাদের মতোই কিন্তু বিপরীত একটা মহাবিশ্বের উৎপত্তির সাথে সাথে। অর্থাৎ আমাদের এই মহাবিশ্ব + এর প্রতি মহাবিশ্ব = ০
অর্থাৎ আমাদের এই মহাবিশ্বের সাথে আরেকটি বিপরীত মহাবিশ্ব জন্ম লাভ করেছে। ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন অলৌকিক ঘটনা না হয়ে থাকলে মহাবিশ্বের সৃষ্টিও কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। ফ্লাকচুয়েশনের ঘটনা সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক, ইহা অনবরত ঘটতেই আছে, ফ্লাকচুয়েশনের ঘটনা না হওয়াকে প্রকৃতি সর্বদা বাধা দেয় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিতও বটে। তাই সব কিছু থাকার পরিবর্তে কোন কিছু না থাকাটাই অস্বাভাবিক। তাই অলৌলিক সিংগুলারিটির অবসান ঘটলো এবং "এন্টিভার্স তত্ত্ব " গ্রহণ যোগ্যতা পেয়ে গেলো। 😂😂
-Eo Eo Arindam Ghosh
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here - https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )