আমার সফলতার গল্পঃ এসএসসি ২০১৫।কোন রকমে জিপিএ ফাইভ।আমি স্বীকার করি আমার বেসিক খুব দুর্বল ছিল।শুধু মুখস্থ আর পরিশ্রম এর জন্য টিকে থাকি।ভাগ্যক্রমে চান্স পাই মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ,পিলখানা,ঢাকা।কলেজের শুরুতে ঢাকা মেডিক্যাল এর স্বপ্ন নিয়ে প্রথম থেকে বেশি করে পড়া শুরু করি।ডেইলি ১২,১৩ ঘন্টা করে।আমাকে ডাক্তার হতেই হবে।কিন্তু মধ্যখানে গিয়ে গিয়ে আমি থেমে যাই,ঢাকার আধুনিকতা আমাকে ভালভাবে আঁকড়ে ধরে।কলেজ পজিশন পিছনে যেতে থাকে।তখন সেকেন্ড ইয়ারের শেষ এর দিকে একজন বুয়েট এর বড় ভাই এর কাছে পড়তাম(উনি CE,13BATCH) উনি বললেন এডমিশন নিয়ে না ভাবতে আর এইচএসসি ফোকাস করতে।উনার মনিটরিং এ আবারো শুরু করি এটলাস্ট আবারো দুইটায় মিস বলতে শুধু প্লাস পাই।আর উনি বললেন তুমি যেমন ঢামেক আসক্ত, এই পড়ায় হবে না।তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রাই করো।আমি নিজের অপূর্ণতা বুঝে উদ্ভাসে এডমিট হই।ভালই চলতেছিল সব।বাট আবারো ভাগ্য।যেখানে সবার হার মানতে হয়।তীব্র মাইগ্রেন এর সমস্যায় কোচিং মাত্র ৪ সপ্তাহ করে থেমে যেতে হয়।হতাশায় না হেরে বাসায় চলে আসি পরিবারের কাছে।সাথে শুধু আগের নোট খাতা আর উদ্ভাসের সকল কোয়েশ্চান ব্যাংক।শহরে ফিরে আসার পর সবাই বলতে লাগলো ওহ ছেলে শেষ। কিচ্ছু হবে না।কোয়েশ্চান আউট হইছে তাই মেবী + পাইছে।আমি শুধু শুনেই যাই।মেডিকেল আর ঢাবির পরিক্ষার আগে ৭৫দিন সময় পাই।শুরু করি। নিজের সবটুকু দিয়ে শুরু করি।মেডিক্যাল এ প্রশ্ন খুব সহজ করায় মার্ক্স ছিল ৬০+।একে একে ঢাবি,জবি বুয়েট কিচ্ছুতেই হয় নি।সমাজের সবাই আবারো তাদের কাজে নেমে পড়লো (সমালোচনা)। আমি এতটাই ডিপ্রেশন এ ভুগতাম যে কুয়েট এর এক্সাম ও দেই নি।চারদিকে অন্ধকার না দেখে পাবিপ্রবি এর জন্য আবারো নেমে পড়ি।হতাশার শিকলে আবদ্ধ না হয়ে শুরু করি।একে একে চবি,চুয়েট (৫০৮তম),হাবিপ্রবি(৪টা অনুষদ),ডেন্টাল (RMC),এটলাস্ট সাস্ট।তখন আবার সমাজের মানুষ গুলাই প্রশংসা করা শুরু করে।অদ্ভুত প্রানী তারা।বিপদে সাহায্য না করলেও সমলোচনা না করতে ভুলে না।এটলাস্ট এটাই বুঝলাম পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না।সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখলে আর পরিশ্রমী হলে সফল তুমি হবেই।আমি মেধায় বিশ্বাসী নই,আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী। পরিশ্রমী হলে হাজারো মেধাবীকে হারানো যায়। প্রতীক রায়
সিএসই,১৭,চুয়েট।
এই লেখাটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো