খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (Food & Nutrition)
কী পড়ানো হয়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু বিষয়সহ স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স দিয়ে বিষয়টির কারিকুলাম সাজানো হয়েছে। মূলবিষয়গুলো হল ফিজিওলজি, অ্যানাটমী, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, অর্গানিক ও ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি, ডায়েটিকস, ফুড প্রসেসিং, পাবলিক হেলথ, চাইল্ড কেয়ার ইত্যাদি।
কোথায়
ঢাবি, রাবি ও ইবি-তে পড়ানো হয়। হাজী দনেশ বিশ্ববিদ্যালয়েও ফুড টেকনোলজি নামে একটি কোর্স আছে। মেয়েদের জন্য ঢাবির অধীনস্থ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বিষয়টি পড়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকুরি
চাকুরি মূলত সব ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানী সেক্টরে। পাবলিক হেলথ নিয়ে কাজ করে এ ধরনের বেসরকারি সংস্থাগুলোতে প্রচুর চাকুরির সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠেত ভালমানের হাসপাতাল গুলোতে নিউট্রিসনিস্ট ও ডায়েটিশিয়ানের চাকুরি পওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও ডয়েটিশিয়ানের (খাদ্য বিশেষজ্ঞের) পদ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পুষ্টি প্রকল্প ও পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করার সুযোগ আছে।
স্কলারশীপ
দেশের বাইরে পুষ্টিবিজ্ঞান বেশ দামী বিষয় হওয়ার কারণে স্কলারশীপ মেলে বহজে। উন্নত দেশগুলোতে পুষ্টিবিদের পেশা বেশ লাভজনক।
সম্ভাবনা :
দেশের ফুড কোম্পানিগুলোতে এ পেশার লোক প্রয়োজন। কিন্তু অতীতে একমাত্র গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাড়া কোথাও বিষয়টি পড়ানো হত না বিধায় ফুড কোম্পানিতে রসায়নবিদ দিয়ে কাজ চালানো হত। সরকার ঔষুধ কোম্পানিতে যেমন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছে তেমনি ফুড কোম্পানিগুলোতেও পুষ্টিবিদ নিয়োগের বিধান করলে এ পেশাটির জন্য প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
এ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম বি গ্রেড থাকতে হবে.