IER (Institute of Education & Research) DU

Subject Review - IER (Institute of Education & Research)

কেমন হবে যদি তুমি লেখাপড়া কিভাবে করতে হয় এবং করাতে হয় এর উপর পড়াশোনা এবং গবেষণা করো? 

শিক্ষা ও গবেষণা - সাবজেক্টির নাম শুনে কাটখোট্টা মনে হলেও ভিতরে এটা মোটেও তেমন না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যা পড়ে এসেছি এবং পড়বো, সেটাই কিভাবে পড়াতে হয় সেটার এটি একটি প্র‍্যাকটিকাল ট্রেনিং এবং গবেষণার মতোই পড়াশোনার বিষয়। এটি ১৯৫৯ সালে USAID এর সহায়তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইন্সটিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সবাই কোনো বিষয় পড়ার আগে জানতে চাই যে এর ভালো দিকগুলো কি। আসলে যারা পড়াশোনা কে ভালোবাসি আর চাই যে কিভাবে আমরা পড়াশোনার মান উন্নত করতে পারি এবং সেই বিষয়ে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে চাই তাদের জন্যই এই বিষয়। 

কর্মক্ষেত্র হিসেবে বলতে গেলে IER এ পড়ে ভবিষ্যৎ শুধু শিক্ষকতা করতে হবে বা গবেষক হতে হবে ব্যাপারটা তেমন না। IER এর সাথে পড়াশোনার সাথে বিসিএস সিলেবাসের অনেকাংশেই মিল। ফলে কেউ চাইলে অনায়েসে পড়াশোনার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে পারো। শুধুমাত্র IER পড়ুয়াদের জন্য সুবিশাল কর্মক্ষেত্র হিসেবে রয়েছে TTC, NAEM, NAPE, NCTB। IER এ পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলোতে (UNICEF, UNESCO, UNDP) কাজ করার অঢেল সু্যোগ রয়েছে। আর তুমি যদি চাও যেকোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক এও কাজ করতে পারবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, যদি তুমি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক থাকো তাহলে এটা তোমার জন্য সেরা সাব্জেক্টের মধ্যে একটি। কারণ ভালো রেজাল্ট থাকলে পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট এবং পিএইচডি তে ফুল স্কলারশিপেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। 

ডিমেরিটস এর দিক থেকে বলতে গেলে এখানে প্রেজেন্টেশন আর এসাইনমেন্ট এর চাপ অন্য ডিপার্টমেন্ট এর চাইতে একটু বেশি কারণ এটা গবেষণাধর্মী বিষয়। 

স্ট্রিম চয়েজ- শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়টি ব্যাচেলর্স অফ এডুকেশন এর অধীনে ৫টি স্ট্রিম অর্থাৎ শাখায় বিভক্ত। ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষা, জীববিজ্ঞান শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষা, বিশেষ শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষা এই ৫টি বিষয়ের ভিত্তিতে আলাদা স্ট্রিম গঠন করা হয়। 

*বিজ্ঞান বিভাগের জন্য- ভৌত ও জীববিজ্ঞান এই দুইটি শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের জন্য, যারা ক (A) ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা নিবে তারা এই দুইটি স্ট্রিম নিতে পারবে। ঘ (D) ইউনিট এর মাধ্যমে আসলে বাকি ৩টি (সামাজিকবিজ্ঞান, বিশেষ ও ভাষা শিক্ষা) নিতে পারবে।

*মানবিক বিভাগের জন্য - খ (B) ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা নিলে সামাজিক বিজ্ঞান, বিশেষ ও ভাষা শিক্ষা নিতে পারবে।

*ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য - ঘ (D) ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা নিলে সামাজিক বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষা নিতে পারবে।

কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস এর দিক থেকে IER অনেক সমৃদ্ধ। ল্যাংগুয়েজ ও কালচারাল, ডিবেটিং ক্লাব, IER YES, IER এর স্টুডেন্ট দের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত EES ইত্যাদি ক্লাবের মাধ্যমে তুমি তোমার নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারবে। 
IER এ কোনো র‍্যাগিং নেই আর এখানে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক অনেক ভালো। তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.