Biochemistry And Molecular Biology (BMB)- CU

সাবজেক্ট রিভিউ: বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (জীববিজ্ঞান অনুষদ)
.
১৯৯৬ সালে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মাইক্রোবায়োলজি হিসেবে এই বিভাগের পথচলা শুরু। পরের বছর এটি বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এর চেয়ারম্যান হন তৎকালীন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এবং এই বিভাগের অভিভাবক প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন স্যার।এরপর ২০০৩ এ স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তীত হয়ে বর্তমান নামে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং নতুন জীববিজ্ঞান অনুষদে স্থানান্তরিত হয়। জীববিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ তলায় খুঁজে পাওয়া যাবে বিষয়টি। বিভাগের প্রতিটি ক্লাশরুম শীততাপনিয়ন্ত্রত ও অত্যাধুনিক সুযোগ স্বংবলিত। যেকোনো তথ্যের জন্য আছে বিভাগের নিজস্ব ওয়েবসাইট ( www.bmb.cu.ac.bd) যেখান থেকে পুরো বিভাগটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাবে।
.
বর্তমানে এই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ড. চৌধুরী মো. মনিরুল হাসান স্যার, এবং এই বিভাগ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ২২তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত।
.
#কি_কি_পড়ানো_হয় :
জীববিজ্ঞান এর অন্যান্য শাখাগুলোর মত, মৌলিক প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, গনিত, পদার্থ, রসায়ন, পরিসংখ্যান, বেসিক কম্পিউটার, এসব বিষয় এএর পাশাপাশি ইমিউনলজি, মলিকুলার জেনেটিক্স, মলিকুলার বায়োলজি, ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি, বায়োইনফরমেটিক্স, প্রোটিন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লান্ট বায়োটেকনোলজি, ফুড এন্ড নিউট্রিশন, ফারমাসিউটিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি, ড্রাগ ডিজাইনিং, ন্যানোবায়োটেকনোলজি, স্ট্রাকচারাল বায়োলজি, সিস্টেমস বায়োলজি ইত্যাদি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় সব এডভান্সড কোরস গুলাই পড়ানো হয় এই বিভাগে।
.
#শিক্ষক: বর্তমানে উক্ত বিভাগে পাচজন প্রফেসর, চারজন এসোসিয়েট প্রফেসর ১০ জন এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রয়েছেন।
.
#সেশনজট : এই বিভাগটিতে কোনো সেশনজট নেই, সম্পূর্ণভাবে সেশনজট মুক্ত।
.
#রেজাল্ট : বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে রেজাল্ট বেশ ভালো। সর্বোচ্চ ৩.৯ এর উপরে পেতেও দেখা যায়। মাস্টার্সে থিসিস করতে হলে অনার্সের সিজিপিএ ৩.৫ লাগে।
.
#জবসেক্টর : 
চার-পাঁচ বছর পড়াশোনা করে কি করবো এটা মাথায় রাখা দরকার। বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি রিসার্চ নির্ভর একটি বিষয়। তাই খুব সহজেই উচ্চশিক্ষা গ্রহনে বিদেশে পাড়ি জমানো যায়। 
.
আইসিডিডিআরবি সহ দেশে বর্তমানে ছোটখাটো দেশী বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন প্রজেক্টে বহু বায়োকেমিস্ট নিয়োগ দেয়।
.
বায়োকেমিস্টদের সরকারি জব আছে বিসিএসআইআর, বিএসটিআই, এটোমিক এনার্জি কমিশন, বাংলাদেশ ঔষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সরকারি ফরেনসিক ল্যাবরেটরি সহ আরো অনেক। 
.
তবে আনন্দের বিষটি হচ্ছে পিএসসি বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োকেমিস্ট্রিকে বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে বিসিএস দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের আন্ডারে সরকারি কলেজগুলোতে কেমিস্ট্রি ও জুলজির প্রভাষক হওয়ার সুযোগ আছে এবং প্রতিবছর বেশ কয়েকজন সেই সুযোগ পায়। 
.
সুযোগ আছে আধাসরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের হিউম্যান বায়োলজি/ বায়োলজির শিক্ষক হবার। 
.
তবে বায়োকেমিস্টদের জন্য বাংলাদেশর সবচেয়ে সেক্টরটি হলো ফার্মাসিউটিক্যালস। দেশী বিদেশী মানসম্মত ১৫০ টির অধিক ঔষুধ কোম্পানিতে হরহামেশাই বায়োকেমিস্ট চায়।
.
কাজ করতে পারেন বায়োকেমিস্ট হিসেবে নামীদামী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে।
.
সাথে অন্যান্য জেনারালাইজড জব সেক্টরটিতো সবার জন্যই খোলা। বায়োকেমিস্ট্রির জব মার্কেট বেশ ভালো বলতেই হবে। বাট সেজন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে (ভালো সিজিপিএ, রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স)।
.
তোমাদের স্বাগতম BMB পরিবারে।
.
নিম্নোক্ত তিনজনের পাঠানো রিভিউ থেকে সংকলিত :
.
রাকিব হাসান, সেশন:২০০৯-১০, বায়োকেমিস্ট্রি 
.
মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, সেশন: ২০১২-১৩, বায়োকেমিস্ট্রি 
.
বিশু সরকার, সেশন:২০১৫-১৬, বায়োকেমিস্ট্রি
.
Copyright : CU Admission Test Help Desk

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.